সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে গুপ্তহত্যার আদেশ দিয়েছিলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানই। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা অনলাইন। সিআইএ’র প্রকাশিত এ তদন্ত প্রতিবেদন সৌদি সরকারের দেয়া বিবৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ, ওই হত্যাকা-ে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত নন বলে দাবি সৌদি আরবের। ফলে ওয়াশিংটন পোস্টের এ রিপোর্ট নিয়ে পাল্টা বক্তব্য দিয়েছে সৌদি রাজ পরিবার।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী সিআইএ’র তদন্ত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ আস্থা প্রকাশ করেছে। সিআইএ খাসোগি হত্যার সঙ্গে মোহাম্মদ বিন সালমানের সংযোগ খুঁজে পেয়েছে। তদন্ত রিপোর্টটি প্রকাশ হবার ফলে সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখার প্রেসিডেন্ট ট্রা¤েপর চেষ্টা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।শুক্রবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, গোয়েন্দা বাহিনীর বিভিন্ন সোর্স ব্যবহার করে সিআইএ তদন্তের একটি শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ক্রাউন প্রিন্সের ভাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত সৌদি রাষ্ট্রদূত খালিদ বিন সালমানের সঙ্গে খাসোগির ফোনালাপও রয়েছে। তবে এ বিষয়টি নিশ্চিত নয় যে, খাসোগির হত্যাকা- সম্পর্কে খালিদ অবহিত ছিলেন কিনা। কিন্তু খাসোগিকে তিনি তার ভাই মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই কল করেছিলেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট ও বার্তা সংস্থা এপি সিআইএ কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। আর এ জন্য সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে সংবাদটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে খালিদ বিন সালমান এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, দুঃখজনকভাবে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে আমাদের পুরো দায় উল্লেখ করা হয়নি। এটি একটি বড় অভিযোগ এবং সোর্সের নাম উল্লেখ না করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা উচিত হয় নি।
এর আগে শুক্রবার আরেক টুইট বার্তায় তিনি জানান, খাসোগির সঙ্গে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৬শে অক্টোবর এসএমএসের মাধ্যমে কথা হয়। আমি কখনোই খাসোগির সঙ্গে ফোনকলে কথা বলি নি। আমি তাকে কোনো কারণে তুরস্কে যেতেও পরামর্শ দিই নি। আমি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে এই অভিযোগের সঙ্গে যুক্ত যেকোনো তথ্য প্রকাশের অনুরোধ করছি।
সিআইএ’র প্রতিবেদন সম্পর্কে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয় নি। হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি গোয়েন্দা সংস্থার বিষয়। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণলয় এবং সিআইএ ও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করে নি।