প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের মুখোমুখি হয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে তাদের স্বপ্ন ও প্রত্যাশার কথা শুনলেন। এ সময় তরুণরা প্রধানমন্ত্রীকে দুর্নীতিমুক্ত, লিঙ্গ বৈষম্যহীন এক উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের কথা বলেন।
শুক্রবার রাজধানীতে বিভিন্ন উদ্যোক্তা, পেশাজীবী, ছাত্র-ছাত্রী, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিকর্মীসহ সারা দেশ থেকে মনোনীত ১৫০ জন তরুণ-তরুণী ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সেন্টার ফর রিসার্স অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এর আগে বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং বিভিন্ন মন্ত্রী ও সাংসদরা এখানে এসেছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত জীবন, নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা নিয়েও তরুণদের সঙ্গে কথা বলেন। একটি রাজনৈতিক পরিবারে বড় হওয়া প্রধানমন্ত্রীর কৈশোর এবং তারুণ্য কি অন্যদের চাইতে আলাদা ছিল? কি রকম দুরন্ত সময় পার করেছেন তিনি? এমন অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়াও কৈশোর ও তারুণ্যে রাজনীতিতে যোগদান, স্কুলের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে যোগদান, মুক্তিযুদ্ধকালে তার অবরুদ্ধ জীবন, ১৯৭৫ সালের পরে দেশের বাইরে তার কঠিন জীবনযাপন, ১৯৮০ সালে লন্ডনে যাওয়া, রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের অনুপ্রেরণা, দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসা- এমন আরও অনেক বিষয়ে অজানা তথ্য তরুণদের জানিয়েছেন তিনি।
তরুণরা যাতে দেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে পারে এবং নিজেদের ভাবনা ও সমস্যাগুলোর কথা নীতি নির্ধারকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সিআরআই নিয়মিত আয়োজন করে আসছে লেটস টক। প্রথমে বিটিভিসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল এটি সরাসরি সম্প্রচারের কথা থাকলেও পরে সে সিদ্ধান্ত থেকেও সরে আসেন আয়োজকরা।