টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিন মাতাব্বরকে আটক করেছে ধনবাড়ী থানা পুলিশ। আটককৃতদের বুধবার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড না মুঞ্জুর করে ৩ মাতাব্বরকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এদিকে ওই স্কুলছাত্রী আদালতে ২২ ধারায় জাবানবন্দি প্রদান করেছে বলে জানায় পুলিশ ।
ধনবাড়ী থানার এসআই হান্নান ও এসআই ফরহাদ হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণের এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাকারী ৩ মাতাব্বরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত মাতাব্বরা হলেন ধনাবড়ী পৌর শহরের চালাষ চৌরাস্তা এলাকার মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে আব্দুর রহমান (৫৮), ধনবাড়ী বাজার এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে মাজহারুল হক (২৫) ও বন্দ টাকুরিয়া গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে মো. জালু মিয়া ওরফে জালু ড্রাইবার (৪৫)। গ্রেপ্তার হওয়া ৩ মাতাব্বরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে বুধবার টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করলে বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে বলে এসআই ফরহাদ হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭শে অক্টোবর ওই শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার সাজেশন দেয়ার কথা বলে মোবাইলে ডেকে নিয়ে ধনবাড়ী বাগান বাড়ী লিচু বাগান ছাত্রাবাসে নিয়ে ১১ জন বখাটে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে অসুস্থ মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় গণধর্ষণের এ ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।মেয়েটি বাসায় গিয়ে তার বাবা-মায়ের কাছে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রভাবশালী কতিপয় মাতাব্বর ঘটনাটি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে এবং বাবা-মাকে জিম্মি করে অসুস্থ মেয়েটিকে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে। পরবর্তীতে ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হলে গত বুধবার পুলিশ পাহারায় ধনবাড়ী থানায় গিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ১১ ধর্ষকসহ ১৬ জনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। এ ঘটানায় ৩ মাতাব্বরকে গ্রেপ্তার করলেও এখনো মূল ধর্ষণকারী কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী থানার ওসি মজিবর রহমান বলেন, গণধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাকারী ৩ মাতাব্বরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।