চট্টগ্রাম টেস্টে চার স্পিনার সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসানকে নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিল বাংলাদেশ। জয় পাওয়া ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের দুই ইনিংসের পুরো ২০ উইকেটই ভাগাভাগি করেন বাংলাদেশের স্পিন-চতুষ্টয়। ঢাকা টেস্টেও বাংলাদেশ দলের চার স্পিনার নিয়ে খেলার সম্ভাবনা। তবে বাংলাদেশ দলে নেই কোনো লেগস্পিনার। আর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, দলে একজন লেগস্পিনার থাকলে বাংলাদেশের খেলার কৌশলই বদলে যেতো। গতকাল মিরপুরে সাকিব বলেন, ‘বৈচিত্র্য যত বেশি থাকে ততো ভালো। স্বাভাবিকভাবে এখানে যদি একটা লেগস্পিনার থাকে তাহলে বৈচিত্র্য বেশি। ওই একটা জায়গাতে (লেগস্পিনার) প্রয়োজনীয়তাটা অনেক বেশি।লেগস্পিনার থাকলে মনে হয় আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা একটু সহজ হয়। কারণ তখন উইকেটগুলো আমরা আরেকটু ব্যাটিং-ফ্রেন্ডলি করতে পারবো। লেগস্পিনারদের জন্য উইকেটে খুব বেশি সহায়তা না থাকলেও উইকেট নিতে পারে। তখন আমরা হয়তো আরো ভালো পরিকল্পনা করতে পারবো। এখন যেটা হচ্ছে, বোলার-ফ্রেন্ডলি উইকেট তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে স্পিনারদের জন্যে। আর ফিঙ্গার স্পিনার ও রিস্ট স্পিনারদের মধ্যে একটু পার্থক্য আছে। রিস্ট স্পিনাররা রান একটু বেশি দিতে পারে, কিন্তু তারা অ্যাটাকিং একটা অপশন। উইকেট যদি ভালো হয়, ব্যাটিং-ফ্রেন্ডলি হয়, তাহলে ফিঙ্গার স্পিনাররা অত বেশি কার্যকরী হয় না। তখন লেগ স্পিনাররা বেশি কার্যকরী হয়। যদি বৈচিত্র্যগুলো ও রকম থাকে তাহলে আমরা ভিন্ন ধাঁচে পরিকল্পনা করতে পারবো। প্রতিপক্ষের শক্তি বুঝে পরিকল্পনা করার সুযোগ পাবো। অনেক বেশি অপশন থাকবে। এখন যেটা নেই। রিস্ট স্পিনার আসলে অপশন তৈরি হবে বলে মনে করি।’ বাংলাদেশে লেগস্পিনারদের মধ্যে আক্ষেপ হয়ে আছে জুবায়ের হোসেন লিখনের নাম। ২০১৪ সালে উজ্জ্বল সম্ভাবনা নিয়েই শুরু করেছিলেন তরুণ এ লেগস্পিনার। কিন্তু ৬ টেস্টে ১৬ উইকেটে থমকে আছে তার ক্যারিয়ার। এখন ঘরোয়া লীগেই খেলার সুযোগ হয় না তার! লিখনের পর এসেছেন তানভীর হায়দার। দুই ওয়ানডে খেলেই ছিটকে গেছেন জাতীয় দল থেকে। এখন নজর ১৬ বছর বয়সী রিশাদ হোসেনের দিকে। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার লেগস্পিনার রিশাদ বিসিবি’র বিভিন্ন দলে খেলার সুযোগও পাচ্ছেন নিয়মিত।