আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি মনে করি, ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের আগেই তাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা জানাতে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনে হেরে যাচ্ছে। তাদের পরাজয়ের আগাম ইঙ্গিত তাদের প্রধানমন্ত্রী পদের কেউ না থাকা। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বারবার একই কথা বলছি, যারা নির্বাচনের এক মাস আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরিবর্তন চায়, তারা নির্বাচন থেকে সরে যেতে চায়। ড. কামাল হোসেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা, কিন্তু মাথা নন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপিও ইঙ্গিত দিয়েছিল ড. কামাল হোসেন সাহেব ঐক্যফ্রন্টের নেতা। কিন্তু কামাল হোসেন সাহেব তো আর দৃশ্যপটে নেই, তিনি ইলেকশন করছেন না। তারা মাথা ছাড়া নির্বাচন করছে। একজনকে ঘিরেই যেকোনো দেশেই নির্বাচন আবর্তিত হয়। সেটা হলো যিনি দলের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন, এখানেই তো তাদের ফলাফল হয়ে গেছে।
তাদের কোনো নেতৃত্ব নেই।
রাজনৈতিক দৃশ্যপটের কোনো পরিবর্তন আসতে পারে কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনটা হবে। তবে আগামী নির্বাচনে কারা জিতবে সেটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হবে। ইসিতে বিএনপির গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে কোথাও কোনো খারাপ আভাস নেই। এই সিটিতে কোথাও কোনো ভায়োলেন্স হয়েছে? ইন্টারনাল ম্যাটার নিয়ে, ক্ষোভ-দুঃখ নিয়ে ছিঁটেফোটা সমস্যা কিছু কিছু জায়গায় হয়েছে, কিন্তু নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মনোনয়ন নিয়ে এবার অন্যান্যবারের মতো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া অনেক কমে যাবে উল্লেখ করে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তবে শেষ পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবে না, তাদের ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে বহিষ্কার। যে জোর করবে তার বিরুদ্ধেই এমন ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখনও আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন, এলাকায় কাজ করতে পারছেন না- এটা কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মনোনয়ন তো ঢাকায় হবে, কাজেই যারা প্রার্থী তাকে ঢাকায় থাকতেই হবে। তবে এই মুহূর্তে ঢাকা আছেন এমন প্রার্থীর সংখ্যা বেশি নেই।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন কেমন হবে- এমন অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাদের মনোনয়ন নিশ্চিত তারা দল থেকে তেমন ইঙ্গিত পেয়েছেন। আমরা দলীয়ভাবে কিছু কিছু ইঙ্গিত তো দিয়েছি। তারা এলাকায় রয়েছেন, কাজ করছেন। জোট ছাড়া প্রার্থী এমন অনেকেই আছেন তাদের কিন্তু আমরা ইঙ্গিত-ইশারা দিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দণ্ডিত ব্যক্তির নির্বাচন না করাই ভালো।
নৈতিকতার প্রশ্নে আওয়ামী লীগ দণ্ডিত ব্যক্তিদের নির্বাচন করাকে সমর্থন করে না। তিনি আরও বলেন, মিথ্যাচার আর গুজবের কারখানা নয়া পল্টনের বিএনপি কার্যালয়। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তির ওপর নির্ভরশীল। বিএনপি গুজবের ওপর নির্ভরশীল। বিএনপির জনগণের ওপর আস্থা কম। যাদের জনগণের ওপর আস্থা কম তারাই গুজবের ওপর নির্ভর করে। দিন যত যাবে আগামী নির্বাচনে কারা ক্ষমতায় আসবে, বিষয়টি তত স্পষ্ট হবে। এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।