আশরাফুল আলম,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ||কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় আজ বিকালে কুলিয়ারচর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে এক হাতে ধান, অন্যহাতে বাঁশি, প্ল্যাকার্ড। মুখে শ্লোগান। আলম ভাই!আলম ভাই! অনেকে তুলছেন সুরও। কেউবা গাইল-সেয়াইডে সেজেছেন বধূ সাজে! এমন রূপে এসেছেন ধানের প্রতীকের প্রচারে। অপেক্ষা দুপুর ১২টা থেকে কখন মো: শরিফুল আলম ভৈরব-কুলিয়ারচর আসবেন। তিনি এসেছেন বিকাল ৫ টায় । ততক্ষণে কুলিয়ারচর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে হাজার হাজার লোকে ভর্তি। এরপর জনস্রোত নিয়ে ঘুষপাড়া মোড় প্রদক্ষিণ করে কুলিয়ারচর বাজারে বিএনপির পার্টি অফিসে গিয়ে সমাবেশ করেন তিনি।
বক্তব্যর শুরুতে কিশোরগঞ্জের মানুষের ভালোবাসা এবং ওনার বাবা মরহুম হাজী সিদ্দিক মিয়ার কথা স্মরণ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন!এসময় হাজার হাজার নেতাকর্মীও তাঁর সঙ্গে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। বক্তব্য তিনি বলেন, দীর্ঘ পাঁচ মাস আমি আমার এলাকায় আসতে পারিনি। ক্ষমতাসীনরা আমায় আসতে দেয়নি। আমার নামে একের পর গায়েবী মামলা দেয়। শুধু আমি নয় হাজার হাজার নেতাকর্মী আজ দলের জন্য সংসার ছেড়েছে। বাড়ি ঘর ছাড়া। সন্তানের মুখ দেখছেন না।
শরিফুল আরো বলেন, আজকের এ নমিমেশন আমার না এটি ভৈরব-কুলিয়ারচর মানুষের। আমি কোনো দলের শরিফুল কথা বলছি না,আমি সবার। এসময় তিনি তাঁর বাবাকে স্মরণ করে বলেন, আমার বাবা আপনাদের সুখে দুঃখে পাশে ছিলো। আমার বাবা স্বপ্ন দেখেছিলো আমি যেন মানুষের সেবা করি। আমি বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।
এসময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এবার ভোটযুদ্ধে থাকতে হবে। দীর্ঘ ১০ বছর পর ভোট হচ্ছে। ভোট চুরির চেষ্টা হলে প্রতিরোধ করতে হবে। ভোটের বিজয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। সব শেষে তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানান।