আশরাফুল আলম,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ||
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে মনোনয়ন চুড়ান্ত হওয়ার পর মার্কা পেয়ে কিশোরগঞ্জ -৬ ভৈরব- কুলিয়ারচর আসনের আওয়ামীলীগ ও মহাজোট প্রার্থী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান ও ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত নারী নেত্রী শহীদ আইভি রহমানের একমাত্র পুত্র এসিসি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন তার নির্বাচনী এলাকা কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের ভৈরব উপজেলার পৌর শহরের কমলপুর ৪নং ওয়ার্ডে বুধবার রাত ৮টায় প্রথম নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ গ্রহন করেন।
এ সময় নাজমুল হাসান পাপন বলেন – আমরা বিদ্যুতের খুটির রাজনীতি করি না, সেবার রাজনীতি করি। আমরা ভৈরবে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছি। আমাকে আমার নামে নয় আমার বাবা – মার নামে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ চিনে এবং অনেক আদর করে। সবাই আমাকে ভৈরবের সন্তান হিসাবে চিনে। ক্রিকেট খেলার বিষয় উঠলেই মানুষ ভৈরব-কুলিয়ারচরের পাপনকে চিনে। আমি রাজনীতি করি নিজের জন্য নয়। ভৈরব -কুলিয়ারচরের জনগণের জন্য মানুষের কল্যানের জন্য রাজনীতি করছি। আমার বাবার দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে ৯টি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি আছে ভৈরব কে জেলা বাস্তবায়ন। সেটাও ইনশাল্লাহ পূরন করব। আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এ পর্যন্ত ২১ বার হত্যার জন্য হামলা করা হয়েছে। তারমধ্যে ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আমার মা শহীদ হয়েছেন । সেদিন অল্পের জন্যে বেচেঁ গিয়েছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আমার বাবা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান।
তিনি আরও বলেন যে- মিথ্যাচার বা ছলনার আশ্রয় নিয়ে বর্তমান ডিজিটাল ও প্রযুক্তির যুগে ক্ষমতায় যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তরুন-তরুনী থেকে শুরু করে বৃদ্ধারা পর্যন্ত মোবাইলের মাধ্যমেই সব দেখতে পারে। আমার সাথে প্রার্থী হয়েছেন কুলিয়ারচরের শরীফুল আলম সাহেব। আমি আর আলম সাহেবের মধ্যে পার্থক্য কি? আলম সাহেবের যখন বাবা মারা গিয়েছিল আমি সেদিন সমবেদনা জানানোর জন্য হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলাম। আমার বাবা যেদিন মারা গিয়েছিল আমাদের খবরটুকু নেয়নি এই আলম সাহেব। এটাই আলম সাহেব আর আমার মধ্যে পার্থক্য। আলম ভোট চায় চোর, বাটপার আর স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি রাজাকারদের বাচাঁনোর জন্য। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আমি রাজনীতি করি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। দেশের উন্নয়নের জন্য। তাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে প্রতিষ্ঠা ও দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও মহাজোট প্রার্থী নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় আনার জন্য আহবান জানান তিনি।
উক্ত পথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র এ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ, ভৈরব উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো: সায়দুল্লাহ মিয়া, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী সিরাজ উদ্দিন, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন কাজল, এনামুল হক জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খুলিলুর রহমান, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা আহমেদ, ভৈরব উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম বাক্কি বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ,
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোশারফ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এম আর সোহেল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক একেএম নাজমুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগ নির্বাহী সদস্য কাজী সাইদুর রহমান, নবযোগদানকৃত আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মোঃ নুর মুহাম্মদ, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ছগীর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্চাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক আফজাল হোসেন জামাল, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আইয়ুব মিয়া,পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিব রায়হান, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অলিউল ইসলাম অলি, যুগ্ম আহবায়ক অরুন আল আজাদ, ইকবাল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি খলিলুর রহমান লিমন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক সোহাগ, প্রচার সম্পাদক শরীফ আহমেদ, পৌর যুবলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন ইমন, সাধারন সম্পাদক আলামীন সৈকত, যুবলীগ নেতা এম আর ওয়াসিম, ১নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আমান উল্লাহ, ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি অলিউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাফিজুল হাসান সানজীব,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির মাষ্টার, হাজী আসমত কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়াদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ইমন মিয়া, সরকারী জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদিয়া মাহবুব প্রভা ও সাধারণ সম্পাদক শান্ত প্রমুখ। উক্ত সভায় প্রায় অর্ধ শতাধিক বিএনপি নেতা কর্মী আওয়ামীমীগে যোগদান করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগে সভাপতি হাজী মজনু মিয়া ও সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শিমুল।