পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে শান্তি স্থাপন নিয়ে একটি সমঝোতায় না হওয়া পর্যন্ত তেল আবিব থেকে অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস পশ্চিম জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিবিদ এবং বিদেশি মিত্রদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পরে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
স্কট মরিসন শনিবার সিডনিতে বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটের একটি আসন পশ্চিম জেরুজালেম। এখানে সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠন রয়েছে। এ জন্য পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে অস্ট্রেলিয়া স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে।আমরা আমাদের দূতাবাস তেল আবিব থেকে পশ্চিম জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করার প্রত্যাশায় আছি। তবে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর হবার পরেই দূতাবাস স্থানান্তর করা হবে। এর আগে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিল ফিলিস্তিনিরা তাতেও অস্ট্রেলিয়া স্বীকৃতি জানায়।
এর আগে অক্টোবর মাসে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ পশ্চিম জেরুজালেমকে রাজধানীর স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে নীতিগত পর্যালোচনার ঘোষণা দেয়। এতে সমর্থন দেয় ইসরাইল। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হন। গত মে মাসে তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পর অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও গুয়াতেমালা এবং প্যারাগুয়েও তাদের দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে প্যারাগুয়ে সরকার বদলের পর তারা এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।