সিপিবি’র নেতৃবৃন্দ বলেছেন,বিগত ১০ বছরের দুঃশাসনের ফলে সরকার এখন জনসমর্থনহীন। তাই জনগণের ভোটাধিকারকে সরকার ভয় পায়। সরকার যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তাই ২০১৪ সালের মতো এবারও খালি মাঠে গোল দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তা না পেরে সরকার এবার সন্ত্রাস, হামলা, হুমকি, গায়ের জোর, রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক শক্তি সবকিছুকে ব্যবহার করে ‘ভোটের আগেই জয়লাভ করার’ আয়োজন করেছে। এ কাজে সরকার সফল হলে আগামী পার্লামেন্ট হয়ে উঠবে জনসমর্থনহীন ‘ভূয়া প্রতিনিধিদের’ পার্লামেন্ট। ফলে গণতন্ত্র আরো বিপন্ন হবে এবং দেশে স্বৈরতান্ত্রিক-এনায়কত্ববাদী-ফ্যাসিবাদী বিপদ বাড়বে। এটি কোনোভাবেই হতে দেওয়া যায় না। এজন্য দেশবাসীকে জাগ্রত হতে হবে।
পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। তবে তারা বিবৃতিতে সব ধরনের ভয়-ভীতি, বাধা উপেক্ষা করে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকারের নীল নকশা বানচাল করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি সিপিবিসহ বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
সিপিবির নেতৃবৃন্দ বলেন,আরও বলেন, জনগণকে ভোটাধিকার থেকে আবারও বঞ্চিত করার সব আয়োজন ভেস্তে দিতে হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবেই সরকারের নীল নকশা বানচাল করতে হবে। তার জন্য ‘নিজের ভোট নিজে পাহারা’ দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে। ভোটাধিকার রক্ষায় সমবেতভাবে ও সাহসের সঙ্গে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তারা ‘ভিশন মুক্তিযুদ্ধ ৭১’ বাস্তবায়নে ‘কাস্তে’ মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। বলেন, গণতন্ত্রকে খর্ব করে ‘এক ভাগ’ মানুষের পকেট ভরার উন্নয়নের বিপরীতে ‘নিরানব্বই ভাগ’ মানুষের শ্রমে ও ঘামে অর্জিত অর্থনৈতিক অগ্রগতির সুফলকে ‘নিরানব্বই ভাগ’ মানুষের কাছে আনতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিকল্প শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে। শোষণ-বৈষম্যহীন ইনসাফের সমাজ গড়ে তুলতে এবং রুটি-রুজি-অধিকারের জন্য ‘কাস্তে’ মার্কার প্রতিটি ভোট দ্বি-দলীয় ধারার লুটপাটতন্ত্রের কফিনে একেকটি পেরেক ঢুকবে।