খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তির সমালোচকরা বৃটেনের গণতন্ত্রকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। গণতন্ত্র যেন ঝুঁকিতে না পড়ে সেজন্য এমপিদেরকে চেকার্সের ব্রেক্সিট প্রস্তাব সমর্থন করার আহবান জানিয়েছেন তিনি। রোববার বৃটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক কলামে তেরেসা মে বলেন, কট্টর ব্রেক্সিট সমর্থক ও ব্রেক্সিট বিরোধী, উভয়দলই চেকার্সের প্রস্তাবের বিরোধীতা করে বৃটিশ গণতন্ত্রের ক্ষতি করছে। এ বিষয়ে সতর্ক করে তিনি এমপিদেরকে চেকার্সের প্রস্তাবে সমর্থন দিতে বলেন। মে বলেন, গণভোটের ফলাফলের প্রতি সম্মান দেখানো, বৃটেনের নিরাপত্তা রক্ষা ও মানুষের চাকরি বাচানোর একমাত্র উপায় হলো খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তিকে সমর্থন দেয়া। আর এটাই এখন মূল বিষয়। ব্রেক্সিট নিয়ে আর কারো কাছে এমন কোন বিকল্প পরিকল্পনা নেই, যাতে গণভোটকে সম্মান দেখা হয়েছে, চাকরির সুরক্ষা ও ব্যবসার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন এমপিরা।পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দেবেন তারা। সেখানে তেরেসা মে’র ব্রেক্সিট প্ল্যান হোচট খাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এক জনমত যাচাই জরিপে দেখা গেছে, বৃটেনে প্রতি চার জনের মধ্যে মাত্র একজন চেকার্সের ব্রেক্সিট প্রস্তাবকে সমর্থন করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কোন চুক্তি হোক বা না হোক, আগামী ২৯শে মার্চের মধ্যে বৃটেনকে ইইউ ছাড়তে হবে। ইতিমধ্যে দুই পক্ষ ব্রেক্সিট পরবর্তী পারস্পরিক সম্পর্ক ও বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী বিষয়ে একটি খসড়া চুক্তিতে পৌছেছে। কিন্তু ওই খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে বৃটিশ পার্লামেন্টের সমর্থন আদায়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’কে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আর পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়া ইইউ’র সঙ্গে কোন চুক্তিতে যেতে পারবে না বৃটেন। ডিসেম্বরেই পার্লামেন্টে এই বিষয়ে ভোটাভোটি হওয়ার কথা ছিল। পরিস্কার ইঙ্গিত ছিল যে, তেরেসা মে’র খসড়া চুক্তি নিশ্চিতভাবেই পার্লামেন্টে প্রত্যাখাত হতে যাচ্ছে। তখন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ওই ভোটাভোটি বন্ধ করে দিতে সক্ষম হন। বুধবার বৃটিশ পার্লামেন্টে আবারো এ বিষয়ে যুক্তি-তর্ক উত্থাপন করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তির বিষয়ে আগামী ১৫ই জানুয়ারি ভোটাভোটি হতে পারে।