নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে ভোটের রাতে গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার ৭ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নং আমলি আদালতের বিচারক নবনীতা গুহ তাদের প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন মেম্বার, বাদশা আলম, স্বপন, সোহেল, বেচু, জসিম উদ্দিন ওরফে প্রকাশ জইস্যা ও হাসান আলী বুলু। এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করে ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন। চরজব্বর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল এসব তথ্য জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০শে ডিসেম্বর ভোট কেন্দ্রে ধানের শীষে ভোট দেয়া নিয়ে নৌকার এজেন্টদের সঙ্গে ওই নারীর তর্ক হয়। সে সময়ে তারা তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। পরে রাতে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রুহুল আমিন মেম্বারের নেতৃত্বে সেই নারীকে গণধর্ষণ করে। বর্তমানে ওই নারী নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।সেখানে মারধরে আহত স্বামীও চিকিৎসাধীন।
ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই নারীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. খলিল উল্যাহ। পরে এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বর থানায় মামলা দায়ের করেন।
ইতোমধ্যে গণধর্ষণের মূলহোতা চরজুবলী ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন (৪০), প্রধান আসামি মো. সোহেল (৪০), মো. বেচু (২৫), মো. স্বপন (৩৫), বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসু (৪০), জসিম উদ্দীন ওরফে প্রকাশ জইস্য (৩৫), হাসান আলী ভুলু (৬০) ও সালাউদ্দিনকে (৩৫) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।