ভারতের ত্রিপুরা ও বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো লাইনে আটকে পড়েছে ৩১ জন রোহিঙ্গা মুসলিম। তাদেরকে কোনো দেশই গ্রহণ করতে রাজি হচ্ছে না। এতে তাদের দুর্দশা চরমে উঠেছে। ভারত বলছে, তারা এসব রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করবে না। কারণ, তারা ভারত থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে সীমান্তের ওই অংশে প্রবেশ করেছেন এমন কোনো প্রমাণ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ দিতে পারে নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এর আগে সোমবার একই পত্রিকা রিপোর্ট করে যে, ১৮ই জানুয়ারি স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটার দিকে বিজিবির একজন কমান্ডিং অফিসার ফোন করেন বিএসএফকে। তাদেরকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক সীমান্তে তারা ৩১ জন রোহিঙ্গা মুসলিমকে আটক করেছে।বিজিবি এ সময় দাবি করে, ভারত থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে ওইসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল। জবাবে বিএসএফ বলেছে, ভারতের ওপাড় থেকে নিয়ম লঙ্ঘন করার কোনোই লক্ষণ নেই। এর অর্থ হলো এসব রোহিঙ্গা ত্রিপুরা থেকে যায় নি। এ বিষয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সুনির্দিষ্টভাবে সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের পুশিং করে নি বিএসএস। কারণ, এক সঙ্গে ৩১ জন রোহিঙ্গাকে কেউ পুশ করবে না। ফলে ওইসব মানুষ কোথা থেকে ওই স্থানে গিয়েছে তা এখন এ মুহূর্তে তদন্তের বিষয়। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রমাণ না হচ্ছে যে, তারা ভারত থেকে ওই স্থানে গিয়েছে ততক্ষণ তাদেরকে গ্রহণ করার কোনো কারণই থাকতে পারে না।
তবে সূত্রগুলো বলেছে, রোহিঙ্গারা ভারত থেকে পালিয়ে ছোট ছোট দলের বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। তারা সীমান্ত অতিক্রম করার পরেই তাদেরকে ধরে ফেলে বিজিবি। উল্লেখ্য, ত্রিপুরা সীমান্তের অনেক এলাকা জলাভূমি। ফলে সহজেই এ সীমান্ত অতিক্রম করা যায়।
বিএসএফের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, এ বিষয়টি এখন ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমরা জিরো-লাইনে ওইসব মানুষকে খাদ্য ও আশ্রয়ের সুবিধা দিয়ে যাবো।
ওদিকে সোমবার আসামের করিমগঞ্জ থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে কমপক্ষে ৩০ রোহিঙ্গাকে। এ সময় তারা ত্রিপুরার আগরতলা থেকে গোয়াহাটির দিকে যাচ্ছিল।