জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, টাঙ্গাইলের জাহালম ভুল আসামি হিসেবে প্রায় তিন বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। তাই তার পুনর্বাসনের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।
সোমবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কাজী রিয়াজুল হক বলেন, এ ভুলের জন্য জাহালম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই তার পুনর্বাসনের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। জাহালমের পাশে সব সময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থাকবে। সব সময় তাকে সহযোগিতা করা হবে। প্রয়োজনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জাহালমের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজি রিয়াজুল হক বলেন, কক্সবাজারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সকলকে একযোগ কাজ করতে হবে। সকল পেশার মানুষ এবং প্রশাসন সজাগ থাকলে দীর্ঘদিন সম্প্রীতির বন্ধন কেউ ভাঙতে পারবে না। মিথ্যা তথ্যের উপর রামু বৌদ্ধ বিহারে হামলার মতো ঘটনা জাতি আর দেখতে চায় না। এর জন্য ধর্মীয় গুরুদের ভূমিকা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে রোহিঙ্গা সমস্যাটি দীর্ঘদিন থাকবে। এই রোহিঙ্গা যেন সম্প্রীতির বন্ধনে কোন ফাটল তৈরি না করে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের স্থান দিতে গিয়ে স্থানীয় মানুষ অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। স্থানীয় মানুষ অনেক ক্ষতির স্বীকার হয়েছে। তাদেরও মানবাধিকারের বিষয়টি দেখতে হবে। স্থানীয় মানুষগুলো এ ক্ষতি কতদিন বহন করে চলবে। অতএব এসব রোহিঙ্গাদের দ্রুতগতিতে তাদের দেশ মিয়ানমারে ফেরৎ পাঠাতে হবে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আমরা তেমন সার্থক হতে পারিনি। প্রত্যাবাসন চুক্তি হলেও মিয়ানমার সরকারের স্বদিচ্ছার কারণে সেই চুক্তির কোন সার্থকতা পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালামসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পেশাজীবী ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।