সাকিব আল হাসান দলে নেই মানে ‘দুইজন’ নেই! সত্যি বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার না থাকা মানে দলে একই সঙ্গে একজন বোলার ও ব্যাটসম্যানের অভাব। তার বিকল্পও এখনো হয়নি টাইগার ক্রিকেটে। তাই দু’জন দিয়েই তার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলে। তবে সেই ক্ষতি কি সত্যি পুষিয়ে নেয়া যায়! ওয়ানডে হোক আর টেস্ট, সাকিবের থাকা মানে দল অনেকটাই নির্ভার। আর না থাকলে অধিনায়কের চিন্তা! কে কে হবেন তার বিকল্প? নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সফর সব সময়ই কঠিন। সাকিবকে ছাড়া আরো কঠিন হবে। তবে গতবছর তাকে ছাড়া বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে হয়েছে আমাদের। চেষ্টা থাকবে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর।’
তামিম ইকবাল, রুবেল হোসেন, সাইফউদ্দিনকে নিয়ে নিউজিল্যান্ড পৌঁছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।তার আগেই দুই ভাগে নিউজিল্যান্ডে গেছেন আরো ১২ জন ক্রিকেটার। ইনজুরির কারণে শুধু যেতে পারেননি সাকিব। বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচে আঙ্গুলে চোট পান তিনি। ব্যাট করার সময় পেসার থিসারা পেরেরার বল এসে তার হাতে আঘাত লাগে। তাতেই আঙ্গুলে চির ধরে। বিসিবি চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী জানিয়েছেন আঙ্গুল নড়াচড়া করতে লাগবে ৩ সপ্তাহ। এরপরই বিসিবির পক্ষ থেকে সাকিবের ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তবে শুধু ওয়ানডে নয়, নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচে টেস্ট সিরিজও সাকিব খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
গেল এক মাস জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটারই ব্যস্ত ছিলেন বিপিএলে। সবাই খেলেছেন টি-টোয়েন্টি ফরমেটে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য প্রস্তুতির সময়ও হয়নি তাদের। ১৩ই ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াবে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সেই হিসেবে হাতে আছে মাত্র ২ দিন। গোটা দলের এক সঙ্গে ওয়ানডে ফরমেটের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি না নিয়ে মাঠে লড়াই একটু কঠিনই হবে। এরই মধ্যে মাশরাফিরা পৌঁছানোর আগেই প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে দল হেরেছে ২ উইকেটে। বিপিএল শেষ করে দ্রুত মানিয়ে নেয়া কঠিন মনে করেন অধিনায়ক মাশরাফিও। তিনি বলেন, ব্যাপারটি (প্রস্তুতি ছাড়া যাওয়া) আমাদের জন্য ঠিক আদর্শ পরিস্থিতি নয়। খেলা নিউজিল্যান্ডে না হয়ে বাংলাদেশে হলেও একটা কথা ছিল। প্রস্তুতির জন্য দুই দিন সময় পাওয়া যাবে। এর মধ্যে চেষ্টা করবো যতদূর মানিয়ে নেয়া যায়।