ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় পনের দিনের ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে একই পরিবারে ৫ জন মারা গেছে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার মানুষ। ওই গ্রামসহ আশেপাশের এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছেন স্থানীয় প্রশাসন।
সোমবার এই পরিবারের সদস্যদের লাশ দাফন করা হয়। ঠাকুরগাঁও ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. শাহনেওয়াজ রোগ নির্ণয় ও ঘটনা পর্যবেক্ষণে ঢাকা থেকে মেডিকেল টিম রংপুর পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রোগ নির্ণয়ের কাজ শুরু হয়েছে। তবে ভয়ের কারণ নেই। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকাটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সমর কুমার চ্যার্টাজি বলেন আক্রান্তদের ঠাকুরগাঁওয়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করা যাচ্ছে না। তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ কর্মকর্তা ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল বলেন, এটি মূলত ভাইরাস জনিত রোগ। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
গত ৯ই ফেব্রুয়ারি প্রথমে আক্রান্ত হন বালিয়াডাঙ্গীর ধনতলা ইউনিয়নের নয়াবাড়ি গ্রামের তাহের আলী (৬৫)। দু’একদিনের ব্যবধানে তার স্ত্রী হুসনে আরা (৫২), ছেলে ইউসুফ আলী (২৭) ও মেয়ে জামাই হাবিবুর রহমানও(২৯) অজ্ঞাত এই রোগে আক্রান্ত হন।
তাহের আলী ও তার স্ত্রী দু’দিনের ব্যবধানে মারা যান। এর কয়েকদিন পর মেয়ে জামাই হাবিবুর মারা যান। রোববার সকালে তাহের বড় ছেলে ইউসুফের মৃত্যু হয়। ওইদিনই ছোট ছেলে মেহেদী হাসান (২৫) কে মুমূর্ষ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় ।
এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসিদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে লাহিড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাসুদ করিম বলেন তিনি ইউসুফের জানাযা নামাজ পড়েই ভয়ে এলাকা ছেড়েছি। একই কথা বলেন স্কুল শিক্ষক খায়রুল আলমসহ আরও অনেকে।