আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তিনি ঝুঁকিমুক্ত নন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান সৈয়দ আলী আহসান বলেন, তিনি ঘণ্টা দুয়েক যাবৎ ভালো আছেন। তবে প্রেসার কখনো বাড়ছে আবার কখনো কমছে। তবে তিনি ক্রিটিক্যাল অবস্থাতেই আছেন। এখন আমাদের সিদ্ধান্ত দুটি হতে পারে।
হয়ত মেডিকেলেই থেরাপি দেয়া হবে কিংবা বাইপাস সার্জারী করা হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত সময় সাপেক্ষ। ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই অবস্থায় দেশের বাইরে পাঠালে স্ট্যাবিলিটি আনস্ট্যাবল হয়ে যেতে পারে।
এদিকে বিকালে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে যান প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী দলের সাধারণ সম্পাদককে দেখে আসার পর আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা উন্নতির দিকে মনে হচ্ছে। প্রেসার কন্ট্রোলে আছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও।
রোববার ভোরে অসুস্থ হয়ে পড়েন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সঙ্গে সঙ্গে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা এনজিওগ্রাম করান। তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। একটি ব্লকে রিং পরানোর পর তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল থাকার পর আবার অবনতি হয়। তখন চিকিৎসরা জানান উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেয়া যেতে পারে। তবে বর্তমান অবস্থা বিদেশ নেয়ার মতো নয়।
এদিকে ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে ভিড় করেন দলীয় নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা। তাকে দেখতে হাসপাতালে যান স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা উত্তরের নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।