চুড়িহাট্টা ট্র্যাজিডির ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার ইব্রাহিম ও নুরুল হক নামের আরও দুজনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদুল ইসলাম জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। পেশায় রিকশাচালক ইব্রাহিমের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ঘোসাইহাটে। স্ত্রী রোকসানা মর্গে এসে তার লাশ বুঝে নেন। আর তরকারি বিক্রতা নুরুল হকের বাড়ি কিশোরগঞ্জে।
তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয় শ্বশুর ফজলুর রহমানের কাছে। ফজলুর রহমান মর্গে সাংবাদিকদের বলেন, চুড়িহাট্টা মসজিদের সামনে তরকারি বিক্রি করতেন তার জামাতা। ঢাকায় তিনি থাকতেন ইসলামবাগে।স্ত্রী রহিমা আক্তার আর এক বছরের ছেলে আলামিন কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে থাকে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টা মোড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ৬৭ জনের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও চারজন। অগ্নিকান্ডের পর দুই দিনে ৪৮ জনের লাশ শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলেও বাকিদের পোড়া লাশ চেনার অবস্থা না থাকায় ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ১৯টি লাশের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করেছে, তাদের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় জানা সম্ভব হয়েছে বুধবার পর্যন্ত। ওই ১১ জনের মধ্যে আট জনের লাশ বুধবারই স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
বাকি তিনজনের মধ্যে দুজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হল বৃহস্পতিবার। পরিদর্শক মুরাদুল ইসলাম বলেন, দুলাল কর্মকার (৪০) নামে আরও একজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রয়েছে। তার বাড়ি রাজশাহী, ঢাকায় থাকতেন কামরাঙ্গীরচরে। স্বজনরা রাজশাহী থেকে এলে তার লাশও বুঝিয়ে দেয়া হবে।