এফসি বার্সেলোনার জার্সি গায়ে স্প্যানিশ লা লিগায় দ্বিতীয় সর্বাধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়লেন লিওনেল মেসি। আর রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে জয় নিয়ে পৃথক রেকর্ড গড়লো বার্সেলোনা। শনিবার নিজেদের ন্যু ক্যাম্প মাঠে রায়ে ভায়েকানোকে ৩-১ গোলে হারায় কাতালান জায়ান্টরা। লা লিগায় এটি ভায়েকানোর বিপক্ষে বার্সেলোনার টানা ১৩তম জয় (২০০২ থেকে)। আসরের কোনো এক দলের বিপক্ষে টানা জয়ের রেকর্ড এটি। স্প্যানিশ লা লিগায় বার্সেলোনার জার্সি গায়ে সর্বাধিক ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি জাভি হারনানদেজের। ১৯৯৮ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ক্যারিয়ারে লা লিগায় ৫০৫ ম্যাচ খেলেন বার্সার স্প্যানিয়ার্ড মিডফিল্ডার জাভি। অপর স্প্যানিয়ার্ড মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাকে টপকে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন লিওনেল মেসি।রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে লড়াইটি ছিল লা লিগায় মেসির ৪৪৩তম ম্যাচ। বার্সেলোনার জার্সি গায়ে ২০০২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ক্যারিয়ারে লা লিগায় ৪৪২ ম্যাচ খেলেন ইনিয়েস্তা। শনিবার নিজ মাঠে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে ম্যাচের শুরুতে ধাক্কা খায় কাতালানরা। ২৪তম মিনিটে স্প্যানিয়াড ফরোয়ার্ড রাউল থমাসের গোলে এগিয়ে যায় সফরকারী রায়ো ভায়েকানো। তবে, নিজের বিশেষ দিনে বার্সেলোনাকে স্বস্তির এক গোল এনে দেন মেসি। ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে লিওনেল মেসির ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত হেডের গোলে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে।
বিরতির পর ভায়েকানোর ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন বার্সেলোনার পর্তুগিজ ডিফেন্ডার নেলসন সেমেদো। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ম্যাচের ৫১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে বার্সাকে এগিয়ে নেন মেসি। চলতি লীগে সর্বোচ্চ ২৬ গোলের (২৫ ম্যাচে) কৃতিত্ব দেখালেন মেসি। আসরে সর্বোচ্চ ১২টি অ্যাসিস্টও এই আর্জেন্টাইন তারকার। ম্যাচের ৮২ মিনিটে স্কোর লাইনটা ৩-১ করেন উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ। লা লিগায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭টি গোল পেলেন সুয়ারেজ। চলতি আসরে ২৭ ম্যাচে ১৯টি জয় ও ৬ ড্রয়ে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। শনিবার লেগানেসের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় অ্যাটলেটিকো। আসরে এক ম্যাচ কম খেলে ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিন নম্বরে অবস্থান রিয়াল মাদ্রিদের। ২০০৪ সালে লা লিগায় অভিষেক লিওনেল মেসির। আসরের ইতিহাসে রেকর্ড ৪০৯ গোলের মালিক তিনি। লা লিগায় ৩১১ গোল নিয়ে এমন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক পর্তুগিজ স্ট্রাইকার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।