আজ জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতির তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৬ সালের আজকের দিনে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে দিতি পাড়ি দিয়েছিলেন না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুতে সৃষ্ট শূন্যতা আজও হাহাকারের জন্ম দেয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের হৃদয়ে। ১৯৬৫ সালের ৩১শে মার্চ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে দিতির জন্ম। ১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মতো এফডিসি নতুন মুখের কার্যক্রম চালু করে। এই আসরে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন দিতি। দিতি অভিনীত প্রথম ছবি প্রয়াত উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। এ ছবিতে তার নায়ক ছিলেন আফজাল হোসেন।কিন্তু আশি শতাংশ কাজ শেষ করার পরও ছবিটি আলোর মুখ দেখেনি। দিতির মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি প্রয়াত আজমল হুদা মিঠু পরিচালিত ‘আমিই ওস্তাদ’। চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন দিতি। ১৯৯৮ সালের ১৭ই ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবে সোহেল চৌধুরী খুন হন। সোহেল চৌধুরীর মৃত্যুর পর ২০০১ সালে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন দিতি। খুব অল্পসময়ে এই বিয়ে ভেঙে যায়। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘স্বামী স্ত্রী’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য দিতি ১৯৮৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এ ছবিতে একজন অন্ধের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন দিতি। বর্ণাঢ্য ফিল্ম ক্যারিয়ারে দিতি অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে-স্বামী-স্ত্রী, হীরামতি, দুই জীবন, বীরাঙ্গনা সখিনা, আপন ঘর, ভাই বন্ধু, উছিলা, লেডি ইন্সপেক্টর, আজকের হাঙ্গামা, স্ত্রীর পাওনা, শ্বশুরবাড়ি, চাকর, বেপরোয়া, শেষ উপহার, চরম আঘাত, প্রেমের প্রতিদান, চার সতীনের ঘর, মেঘের কোলে রোদ, মাটির ঠিকানা ইত্যাদি। শেষের দিকে সিনেমায় সময় কমিয়ে দিয়ে নাটকে ব্যস্ত হয়ে পড়েন দিতি। অভিনয়ের পাশাপাশি শুরু করেছিলেন নাটক পরিচালনাও। দিতি রেখে গেছেন দুটি সন্তান। ১৯৮৭ সালে জন্ম নেয় মেয়ে লামিয়া চৌধুরী আর ১৯৮৯ সালে জন্ম নেয় ছেলে দীপ্ত। দুজনেই দেশের বাইরে পড়াশোনা শেষ করেছেন।