মিজানুর রহমান ও ফজলে মাহমুদ রাব্বির সেঞ্চুরি। সঙ্গে ইয়াসির আলী চৌধুরীর ঝড়ো ফিফটিতে ব্রাদার্সের স্কোর বোর্ডে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৩৩০ রান। মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে চলতি লীগে প্রথম ৩শ’ ছাড়ানো ইনিংস। বলার অপেক্ষা রাখে না এত বড় লক্ষ্য মিরপুরের এই উইকেটে তাড়া করা ভীষণ কঠিন। কিন্তু সেই অসাধ্যকে সাধন করেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটসম্যানরা। ৩শ’ ছাড়ানো বড় লক্ষ্য মামুলি বানিয়ে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে। দুই সেঞ্চুরির জবাবে কোনো সেঞ্চুরি ছাড়াই এই জয় পায় দলটি। ঝড়ো শুরু এনে দেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ৪৭ বলে ৫৪ রান করে।এরপর ইশ্বরন ৯০ ও অলক কাপালী ৬২ ও আল আমিন ৫২ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ৭ বল বাকি থাকতেই। হারের ম্যাচেও দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। তবে সইতে হয়েছে ১৪৯ রান করেও দলের হারের যন্ত্রণা। এ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে রূপগঞ্জকে টপকে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে এখন প্রাইম ব্যাংক। তবে একই সমান পয়েন্ট হলেও এখনো রান রেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লি.।
মাত্র ১০ রানেই ব্রাদার্সের প্রথম উইকেটের পতন। ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিক আউট হন ৭ রান করে। এরপর মিজানুর রহমান ও ফজলে মাহমুদ রাব্বির ১৯৩ রানের জুটি। বদলে যায় পরিস্থিতি। ১০৯ বলে ৮ চার ও ৫ ছয়ে কাঁটায় কাঁটায় ১০০ করে মিজানুর আউট হলেও ঝড় থামেনি। এবার প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের সামনে আরো বড় বিপদ হয়ে আসে রাব্বির সঙ্গে দেন ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। দুই রাব্বির ঝড়ো জুটিতে শেষ ১০ ওভারে আসে ১২৩ রান। তাতেই চলতি লীগে সর্বোচ্চ ৩৩০ রান তোলে ব্রাদার্স। তিনে নেমে ফজলে মাহমুদ খেলেন ১৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। শেষ দিকে ঝড় তোলেন ইয়াসির। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কায় ফজলে মাহমুদ ছাড়িয়ে যায় তার আগের সেরা ১৪৮ রানকে। ১৪৭ বলে ১৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে তার ৫টি ছয়, ১৩টি চারের মারে। ৭৫ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে এটি তার ৮ম সেঞ্চুরি। অন্যদিকে ইয়াসির তিন ছক্কা ও ছয় চারে ৩৭ বলে সাজান তার ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংসটি। ৫৬ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে এটি ইয়াসিরের ১২তম ফিফটি।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার সালমান হোসেন ১৩ রানে ফিরেন সাজঘরে। আরেক ওপেনার এনামুল খেলেন দারুণ সব শট। ১০ চারে ৪৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংসটি অবশ্য শেষ হয়েছে ভুল একটি শটে। এরপর ভারতীয় ব্যাটসম্যান ইশ্বরন রানের গতি ধরে রাখার পাশাপাশি আগলে রাখেন এক প্রান্ত। আল আমিন উইকেটে গিয়েই দুর্দান্ত খেলতে থাকেন। তবে শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে ৫২ করে বিদায় নেন আল আমিন। তাতেও দমে যায়নি প্রাইম ব্যাংকের মনোবল। এবার ইশ্বরনকে সঙ্গ দেন অলক। পঞ্চম জুটিতে দু’জন তুলে নেন ১০১ রান। তারাই দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। ইশ্বরন আউট হন ৯৬ বলে ৯০ রান করে। দ্রুতই আউট হন নাজমুল ইসলাম তবে কোনো বিপদ হতে দেননি অলক। ৪৯ রানের অপরাজিত জুটিতে অলককে ভরসা জোগান নাহিদুল ইসলাম। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৫ বলে ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়ে ফেরেন অলক। বলার অপেক্ষা রাখে না ফজলে রাব্বি ও মিজানুলের সেঞ্চুরিকে ম্লান করেই জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক।