মানিকগঞ্জে কালবৈশাখীতে নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সকালে পদ্মা নদীতে তাদের মরদেহ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা। এরা হলেন, পাবনার সাথিয়া উপজেলার আতাইকোলা গ্রামের ইসমাইল হোসেন (৫৮) এবং শিবালয় উপজেলার ধুতরাবাড়ি গ্রামের ইয়াদ আলী (৪৮) ও চান মিয়া (৪৫) । মরদেহ তিনটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার শিবালয়ের পাটুরিয়া ঘাটের পশ্চিমে যুমনা নদীতে ইয়াদ আলী ও চান মিয়া মাছ ধরছিলেন। সন্ধ্যায় কালবৈশাখী ঝড়ে ট্রলারটি নদীতে ডুবে গেলে তাঁরা নিখোঁজ হন। এরপর গতকাল সোমবার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলের আশপাশে উদ্ধার অভিযান চালালেও নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটের পূর্বপাশে পদ্মা নদীতে ইয়াদ আলীর মরদেহ এবং হরিরামপুর উপজেলার দাসকান্দি বয়ড়া এলাকায় একই নদীতে চান মিয়া ও ইসমাইলের লাশ ভেসে ওঠে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান এবং শিবালয় থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, মরদেহ তিনটি তাদের থানায় রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে রোববার পাবনা থেকে পাথরবোঝাই করে ট্রলারে করে ঢাকার নবাবগঞ্জে যাচ্ছিলেন ১০ জন শ্রমিক।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কালবৈশাখীর কবলে পড়ে নবাবগঞ্জ এবং হরিরামপুরের মাঝামাঝি পদ্মা নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে সাতজন শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠলেও ইসমাইল হোসেন (৫৮), কলিম মিয়া (৪৫) এবং নাসির হোসেন (৪০) নিখোঁজ হন। তাঁদের বাড়ি পাবনার সাথিয়া থানার আতাইকোলা গ্রামে।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম বলেন, আজ বেলা ১১ টার দিকে হরিরামপুরের ধুলশুড়া বাজারের অদূরে পদ্মা নদীতে ইসমাইলের লাশ ভেসে ওঠে। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশটি স্থানীয় থানায় হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, নিখোঁজ বাকি দু’জনকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছেন।