স্বদেশ নিউজ২৪ডটকম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুরঃ
চৈত্র্যের খরতাপের বিষন্নতা শেষে প্রকৃতিতে বৈশাখ। আর এই বৈশাখের শুরু হল বাংলার ষড়ঋতুর প্রথম মাস। এ দিনটি বাংলাদেশে নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। এটি বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ। গত ১৪ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখে বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী সংলগ্ন জামান রেস্তোরায় নারী কল্যাণ মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় বাংলা নববর্ষ ও নারী শীর্ষক আলোচনা সভার। নারী কল্যাণ মঞ্চের আহ্বায়ক আরিকা মাইশার সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এড. দিলরাবী আজিজ। এড. শ্যামলী চৌধুরী, তাহেরা বেগম প্রমুখ।
এড. দিলরাবী আজিজ বলেন, পহেলা বৈশাখের উৎসব বাঙালী ঐতিহ্যের একটি আকর্ষনীয় যোগাযোগ মাধ্যম। এতে নারীদের অংশগ্রহণ জরুরী কিন্তু কিছু কিছু সময় উৎসবমুখর পরিবেশে নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা ও অশ্লীল আচরণ করে কিছু ব্যক্তি। যে সকল ব্যক্তি এসব অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে। সেই সঙ্গে নারীদেরও সাহসীকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে। ভয়কে জয় করে উৎসবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নারীশক্তির বিকাশ করতে হবে।
এড. শ্যামলী চৌধুরী বলেন,পহেলা বৈশাখের সৌন্দর্য নারী। নারীর সাজ সজ্জা আর রঙে ঢঙে শুধু নয়, নারীরা তাদের সজীবতায় প্রকৃতিকে যেন প্রাণ দেয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মেতে ওঠে।
এছাড়াও তাহেরা বেগম বলেন, পহেলা বৈশাখ মানে পরিবারকে রন্ধন শিল্পের মাধ্যমে বাঙালীয়ানা স্বাদ দেবার চেষ্টা।অন্যান্য দিনের চেয়ে এই দিনের বিশেষত্ব হলো পরিবারকে রন্ধনশিল্পের মাধ্যমে বাঙ্গালীর হাজার বছরের ঐতিহ্যকে ধারণ করা।পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতির একটা অংশ বাঙ্গালীর খাদ্যভাস, পোশাক, নিবিড় সংস্কৃতির আদান প্রদান। পহেলা বৈশাখ ও নারী আলাদা কোন বিষয় নয়, যা একে অপরের পরিপূরক। এভাবেই পহেলা বৈশাখ ও নারীর সম্পর্কের বিভিন্ন দিক বক্তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে উঠে আসে। সব শেষে কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।