নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইল সদর হাসপাতালের চার চিকিৎসককে দায়িত্ব-কর্তব্যে অবহেলার কারণে ওএসডি করার পর সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চার ডাক্তার হলেন, সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. আকরাম হোসেন, কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ শওকত আলী ও রবিউল আলম এবং মেডিকেল অফিসার এ.এস.এম সায়েম। তাদের প্রথমে ওএসডি এবং পরে বরখাস্ত করা হয়েছে। নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ আব্দুস শাকুর জানান সোমবার (২৯এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বরখাস্তের আদেশটি পেয়েছেন।
নড়াইল সদর হাসপাতালের নবনিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ আব্দুস শাকুর জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে চার চিকিৎসকের ওএসডি সংক্রান্ত আদেশ রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে হাসপাতালে এসে পৌঁছায়। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে অভিযুক্ত ওই চার চিকিৎসককে বরখাস্তের আদেশ সদর হাসপাতালে পৌঁছেছে। তত্ত্বাবধায়ক আরও বলেন, চিকিৎসকদের কাওকে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা গত ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনের সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না দেখে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুস শাকুর এবং সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আকরাম হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন । এ সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগিদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যা শোনেন এবং হাসপাতালের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখতে পান। পরে রাতে হাসপাতালের কর্মকর্তা এবং জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি। এ সময় বেশ কিছু বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন। সেগুলো হলো হাসপাতালে অনুপস্থিত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, হাসপাতালে প্যাথলজিক্যাল সেবা নিশ্চিত করা, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত চিকিৎসকদের হাসপাতালে অবস্থান করা, হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্স অবস্থান না করা, দালাল চক্র হাসপাতালে প্রবেশ করতে না পারা, সরকারের সাপ্লাইকৃত ওষুধের যথাযথ ব্যবহার এবং বড় ওয়ার্ডে দুজন করে নার্সের দায়িত্ব দেয়া।
সূত্রে জানা যায়,নড়াইল সদর হাসপাতালে ৩৯জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত ডাক্তারের সংখ্যা ১৭ জন। এর মধ্যে পাঁচজন চিকিৎসক সংযুক্তিতে।