চলতি বছরেই ঢাকায় আবার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কাজ করেছে এরই মধ্যে। ইতি মধ্যেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়দ সাইদ খোকনের মেয়াদ চারবছর পূর্ণ হয়ে পাঁচবছরে পা দিলো। অন্যদিকে উপনির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামেরও মেয়াদ রয়েছে আর মাত্র একবছর।
সাধারণত মেয়াদ পূর্তির ছয়মাস আগেই নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। সেই অবস্থান থেকেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দুই সিটিতে নির্বাচনের প্রক্রিয়া গত পরশু থেকে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগও সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ ঢাকা মহানগরী। ঢাকা মহানগরীকে শক্তিশালী করার জন্য দুটো ভাগে বিভক্ত করলেও দুটো ভাগই প্রায় অচল অবস্থায় আছে এবং নেতৃত্বে শূন্যতা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় ঢাকা মহানগর উত্তরের মেয়র হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে, আতিকুল ইসলাম মেয়র পদে পুনরায় মনোনয়ন পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ তিনি মাত্র একবছর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু সাইদ খোকন আবার মনোনয়ন পাবেন কিনা এ নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে।
এই মনোনয়নের জন্য আগ্রহী রয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদসহ একাধিক নেতা এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন। ইতিমধ্যেই তারা এ ব্যাপারে দলের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন যে মেয়র নির্বাচন এবং মহানগরের সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাস, সংগঠনকে শক্তিশালী করার বিষয়টি একসূত্রে গাঁথা এবং তারা একই সঙ্গে দুটো কার্যক্রম করবে বলে জানা গেছে।