ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, অচিরেই তার অবসান করার আশ্বাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার দুপুরে মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে গেলে ছাত্রলীগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এই আশ্বাস দেন।
ছাত্রলীগের সমস্যার সমাধান কবে হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘আমার অনুপস্থিতিতে ছাত্রলীগের কমিটির ব্যাপারে নেত্রী আমাদের দলের চারজন নেতাকে কমিটি গঠন, অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা সাংগঠনিক সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাদের সাথে আমার কথাবর্তা হয়েছে, যোগাযোগ হচ্ছে। আন্দোলন-প্রতিবাদ করছে যারা, তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। আমি আশা করি, অচিরেই সমাধান হবে।’
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাদের আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগী ছাত্র-সংগঠনটির দেখভাল করে আসছিলেন। তার অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় সংগঠনের মধ্যে জটিলতা দেখা দেয়। শনিবার তিনি মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে বিক্ষুব্ধ একদল ছাত্রলীগ নেতা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলার ঘোষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিল। সম্মেলনের এক বছর পর গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলে তা পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পদ না পাওয়া কিংবা প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারা।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখেছে কে? সরকার না মামলা? তত্ত্ববধায়ক সরকারের মামলার কারণে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আদালতের রায়ের কারাগারে আছে। যদি সরকারকে দায়ী করেন, তাহলে তত্ত্ববধায়ক সরকারকে দায়ী করেন। দেশে আইন আছে, বিচার ব্যবস্থা আছে। আইন অনুযায়ী তিনি আদালতে গেছেন, আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন; সাজা দিয়েছেন। সেভাবেই তিনি জেলে আছেন। আইনি লড়াই করে বিএনপির নেতারা তাকে মুক্ত করে আনতে পারে। এখানে সরকারের কোনো করণীয় নেই। বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার।’