শায়লা চাকরি সামলান, সংসার দেখেন, মেয়েকে পড়ান। কিন্তু তারপরও স্বামী শাহেদ সুযোগ পেলেই শায়লাকে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। একটা তাচ্ছিল্যের ভাব করেন। যেন স্ত্রীর চাকরিটা তাদের জীবনে কোনো গুরুত্ব বহন করছে না। সংসারের সুখ রাখতে গিয়ে অবশেষে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন শায়লা।
অথচ দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্কের পর তারা বিয়ে করেছিলেন। অথচ সংসার আর কর্মক্ষেত্র নিয়ে ছোট ছোট ঘটনাগুলোর জন্য তাদের সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমন অবস্থায় পারস্পরিক সম্পর্ক কতটুকু অর্থপূর্ণ তা দেখা জরুরি। সম্পর্কের ভালো চলা, খারাপ চলা অনেক সময় আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা নির্দেশ করে। আপনার সম্পর্কের ব্যাপারে মনোযোগী হোন। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী সবার সঙ্গে আর ঘরের যে মানুষটা একান্তই আপন তার সাথে অর্থপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
অর্থপূর্ণ সম্পর্কই পারে আপনাকে সবচেয়ে বেশি সুখী করতে। আর এজন্য প্রয়োজনে নিজেরা খোলামেলা আলোচনা করুন। যদি দেখেন নিজেদের মধ্যে আলোচনায় সম্পর্ক ভালো তো হচ্ছেই না, বরং আরও অশান্তি তৈরি হচ্ছে তবে মনোবিদের পরামর্শ নিন।