উত্তর কোরিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নানা ধরনের নৃশংস পদ্ধতির কথা শোনা যায়। এবার সেই তালিকায় রাক্ষুসে মাছ পিরানহার ব্যবহারের কথা যোগ হলো। তার দেশে বিরোধিতার শাস্তি যে ভয়ঙ্কর, সেই বার্তা দেশবাসীকে বারবারই পৌঁছে দিয়েছেন কিম।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারের খবরে বলা হয়েছে, এবার নাকি এক সেনা কর্মকর্তাকে পিরানহা মাছে ভর্তি পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে। ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কিমের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করছিলেন। আর ওই খবর কানে আসতেই শাস্তি।
এর আগে ২০১৫ সালে তৎকালীন সেনাপ্রধান হিয়ং ইয়ং চোল-কে কামানের গোলার সামনে দাঁড় করিয়ে খুন করা হয়। পরের সেনাপ্রধান রি ইয়ং গিলকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ফলে কিমের এমন কার্যকলাপে অবাক নন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। তাদের মতে, বিদ্রোহীদের মধ্যে আতঙ্ক ও ভয়ের বার্তা দিতেই তার এই সিদ্ধান্ত; যা একান্তই কিম সুলভ।
সূত্রের খবরে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ে কিমের প্রাসাদের ভেতরে একটি বিশাল পুকুরে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়েছে কয়েকশ পিরানহা মাছ। জানা গেছে, প্রথমে ওই সেনা কর্মকর্তার হাত-পা ধারালো অস্ত্র দিয়ে চিরে দেয়া হয়। তার পরে তাকে ফেলে দেয়া হয় ওই পুকুরে। তবে শেষপর্যন্ত পিরানহার কামড়ে নাকি পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে- তা নিশ্চিত জানা যায়নি।