চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় সবুর আলী (৪৫) নামের এক পান ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার ভোররাতে উপজেলার হারদী চেয়ারম্যানপাড়ায় ঘরে ঢুকে তাঁকে হত্যা করা হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাইলাল সরকার, আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী ও পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মাহবুব হোসেন আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ সবুব আলীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।
পুলিশ সুপার কানাইলাল সরকার বলেন, ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করায় সবুর আলী মারা যান। তবে কারা, কী কারণে তাঁকে হত্যা করেছে, তা জানা যায়নি। দোষী ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী সালমা খাতুন বলেন, তাঁর স্বামী পারিবারিক জমিতে কৃষিকাজের পাশাপাশি আলমডাঙ্গা ও আশপাশের হাটে পান ব্যবসা করতেন। গতকাল শুক্রবার রাতে দুজন মিলে প্রায় আট মণ ধান সেদ্ধ করেন। এরপর একমাত্র ছেলে এস এম বিল্লাহ পিয়ালকে (১০) নিয়ে তিনি একটি কক্ষে ঘুমাতে যান। স্বামী সবুর আলী পাশের কক্ষে ঘুমান। ঘরের বারান্দায় ধান স্তূপ করে রাখায় সবুর আলী দরজা খুলে ঘুমান। আজ ভোররাতে শব্দে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। তিনি দরজা খুলে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু দরজা বাইরে থেকে বন্ধ থাকায় বের হতে পারেননি। তাঁর ডাকাডাকির শব্দে প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম দরজা খুলে দেন। দরজা খুলে বের হয়ে স্বামীর নিথর দেহ দেখতে পান তিনি। সালমার দাবি, তাঁর স্বামীর সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী স্বদেশ নিউজ২৪ কে বলেন, সবুর আলীর মরদেহ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিজের গ্রাম হারদীতে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।