২৬ বছর আগে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলির ঘটনায় ৯ জনকে ফাঁসি আদেশ দেয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, পাবনায় যে রায় দেয়া হয়েছে, এতে গোটা জাতি বিস্মিত হয়েছে। ২৬ বছর আগে ট্রেনে দুইটি গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। কে ছুড়েছে। কয়টি ছুড়েছে তার কোনো প্রমাণ নেই। অথচ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৯ জনকে ফাঁসি দিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ -ড্যাব আয়োজিত এক চিকিৎসক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা আলমগীর বলেন, এই রায়ে আমরা শুধু হতাশ নই বিক্ষুব্ধ। এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে এ দেশে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা নেই।
এসময় তিনি বলেন, ট্রেনে গুলি ছোড়ার ঘটনায় বিএনপি নেতাদের সাজা দেয়া হয়েছে। কিন্তু ওইদিন আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের গোলাগুলির ঘটনার ট্রেনে এ গুলি লাগে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা সব সময় বলে বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে। তারা ক্যান্টনমেন্টের দল। কিন্তু তারা একবারও বলেনা এরশাদের আমলে দীর্ঘ ৯ বছর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খালেদা রাজনীতিতে এসেছেন। প্রধান মন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন- এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যে যাবে সে হবে জাতীয় বেঈমান। কয়েকদিন পরে তিনি এরশাদের অধীনে নির্বাচনে গিয়েছেন। আমরা এগুলো ভুলে যাইনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া প্রতিটি সময়ে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন। এখনো তিনি করে যাচ্ছেন। এখন যে কারাগারে আছেন এটাও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা হরণ করে মাত্র ৪ টি পত্রিকা রেখে আর সব বন্ধ করে দিয়েছিল। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সব পত্রিকা খুলে দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এই ধরনের মামলায় সবাই জামিন পান। শুধু খালেদা জিয়া জামিন পাচ্ছেন না। এই ধরনের মামলায় জামিন পাওয়ার উদাহরণ আমাদের সামনেই আছে। ব্যারিস্টার মঈনুল হক জামিন পেয়েছেন। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জামিন পেয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আর কোনো আস্থা নেই। একটা নির্বাচনও তারা সুষ্ঠু করতে পারেননি।
ড্যাবের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ড্যাবের নবনির্বাচিত সভাপতি হারুন আল রশীদ, মহাসচিব ডা. আবদুস সালাম, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ডা. ওবায়দুল কবির খান, ড্যাব নেতা ডা. মেশাররফ হোসেন ডাম্বেল, নবনির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসান প্রমুখ।