বলিউড ভাইজান সালমান খান কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার শুনানিতে হাজিরা না দিয়ে বিপদে আছেন। নিয়ম না মানায় তার জামিন নাকচ হয়ে জেল হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের যোধপুর আদালত। জেল হলে থেমে যাবে সালমানের একাধিক ছবির কাজ। তাইতো চোখে-মুখে চিন্তার ভাঁজ ‘দাবাং ৩’ এবং ‘ইনশাআল্লাহ’ সিনেমার পরিচালকের।
গেল বছর ভাইজানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল যোধপুর আদালত। ওই সময় বেশ আলোচনা উঠেছিল। যদিও পরে তাকে কারাভোগ করতে হয়নি।
জানা যায়, একাধিকবার মামলার শুনানিতে তিনি হাজির না হওয়ায় চটেছেন বিচারক চন্দ্র কুমার সোঙ্গারা। তিনি এবার সতর্ক করে বলেছেন, পরবর্তী শুনানির দিন সশরীরে উপস্থিত না থাকলে সালমানের জামিনের আবেদন খারিজ হবে। তাকে কারাবাস করতে হতে পারে। কৃষ্ণসার হত্যা মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর।
এ প্রসঙ্গে সালমানের আইনজীবী এইচ এম সরাস্বত বলেন, অভিনেতার শুটিং শিডিউলের জন্য হাজিরা দিতে পারেননি। কোটের নির্দেশনা মেনে পরবর্তী শুনানিতে তিনি উপস্থিত হবেন। আদালতের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ আছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হায়’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে সালমান ও তার সহঅভিনেতা ও অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। এই তালিকায় ছিলেন টাবু, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম ও সাইফ আলী খান। ২০১৮ সালে এই মামলায় একমাত্র দোষী সাব্যস্ত হন ভাইজান।
গত বছর ৫ এপ্রিল বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সালমানের শাস্তি হয়েছিল। পাঁচ বছরের জেল ও দশ হাজার টাকা জরিমানা ছিল তার শাস্তি। যদিও দু’রাত জেল খেঁটে ৫০ হাজার টাকায় জামিনে মুক্তি পান তিনি। পরবর্তীতে রাজস্থানের নিম্ন আদালত তাদের নির্দোষ ঘোষণা করেছিল। তবে রাজস্থান সরকার এই নির্দেশ না মানায় এখনও মামলা চলছে।