দুইদিনের টানা বর্ষণে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় পাহাড় ধসে তিন বছরের শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরো তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহতরা হলো-তিন বছর বয়সী শিশু উজ্জল মল্লিক ও তাহমিনা আক্তার (২৫)। গতকাল দুপুর একটার সময় চন্দ্রঘোনা ইউপির কলাবাগান এলাকার মালি কলোনিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের এনডিসি উত্তম কুমার দাশ ও কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, কাপ্তাইয়ের অনেক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এখনো পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সঠিকভাবে জানা যাচ্ছে না। প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে সেখানে।
তিনি জানান, নিহতদের জন্য রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ নিহত পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ৪০ হাজার টাকা করে প্রদান করেছেন।
এদিকে, রাঙ্গামাটি শহরের পাহাড়ের পাদদেশে ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে অনুরোধ জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ। এ ছাড়া গতকাল বিকাল থেকে রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে অথবা জেলা প্রশাসনের খুলে দেয়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চলে যেতে বলা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে স্বেচ্ছাসেবীরা গিয়ে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় তথা জেলা প্রশাসন কর্তৃক চালু করা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৩ই জুন রাঙ্গামাটিতে প্রবল বর্ষণের পর পাহাড় ধসের ঘটনায় পাঁচ সেনাসদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এ সময় আহত হন আরো দুই শতাধিক মানুষ। এর পরের বছর ২০১৮ সালের ১২ই জুন রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনায় মৃত্যু হয় ১১ জনের। ঝুঁকির কথা জেনেও এসব এলাকায় বসবাস করছে প্রায় ৬২৯টি পরিবার।