বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, মঙ্গোলিয়া ও তিমুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদা আলাদা দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এ সময় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই সহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। শুক্রবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এসব বৈঠক করেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ পলিসি তুলে ধরেন। এ বিষয়ে এক টুইটে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে চমৎকার এক বৈঠক হলো। শিগগিরই ঢাকা সফর করতে চাই। নেইবারহুড ফার্স্ট! ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিন্দু।
বেশ কিছু কনফারেন্সে অংশ নিতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে রয়েছেন এস জয়শঙ্কর। তিনি যোগ দেবেন আসিয়ান-ভারত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে, ৯ম পূর্ব এশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে, ২৬তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামে ও ১০ম মেকং গঙ্গা সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে।
এ নিয়ে জয়শঙ্কর এক টুইটে বলেছেন, দ্বিতীয় দিনটি ভালই শুরু হলো। ভিয়েতনামের সঙ্গে দৃঢ় বন্ধুত্ব শক্তিশালী হলো। এ ছাড়া তিনি শ্রীলঙ্কার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের শক্তিশালী সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। জয়শঙ্কর এ বিষয়ে টুইটে বলেছেন, শ্রীলঙ্কা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান বন্ধু। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিলক মারাপানার সঙ্গে উষ্ণ বৈঠক হলো। তাতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে শেষ হওয়া গৃহযুদ্ধের পর শ্রীলঙ্কায় এবার সবচেয়ে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। এতে তিনটি চার্চ ও পাঁচ তারকা হোটেলে ঝরে যায় কমপক্ষে ২৫৮টি প্রাণ। এই হামলার দায় স্বীকার করে আইএস। তবে সরকার এ জন্য দায়ী করে স্থানীয় উগ্রপন্থি গ্রুপ ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াতকে।
তিমুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আন্তরিক সংলাপের প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন জয়শঙ্কর। ৯ম পূর্ব এশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সামিটের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকের ফাঁকে তিনি কথা বলেন তিমুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। এ বিষয়ে টুইট করেন জয়শঙ্কর। তিনি তাতে বলেছেন, তিমুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিওনিসিও দা কস্টা বাবো সোরেসের সঙ্গে আন্তরিক আলোচনা হলো। সব সেক্টরে জড়িত হওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ জোরালো করতে সম্মত হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তিনি বৈঠক করেছেন মঙ্গোলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দামদিন তোগতবাতারের সঙ্গে।