ময়মনসিংহ নগরীর ব্রাহ্মপল্লী এলাকায় পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক গারো তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালটির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে।
গতকাল রোববার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই তরুণী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
পরে পুলিশ হাসপাতালটির মালিক মজিবর রহমান ও ম্যানেজার আলম মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ধোবাউড়া উপজেলার ভূইয়াপাড়া গ্রামের ওই গারো তরুণী বসবাস করতো নগরীর ভাটিকাশর এলাকায়।
তিনি ময়মনসিংহ মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে নার্সিং পেশায় প্রশিক্ষণ নেন। রোববার বিকেলে এক বান্ধবীকে নিয়ে চাকরির জন্য ওই হাসপাতালে যায় তরুণী। এ সময় হাসপাতালের ম্যানেজার আলম মিয়া তাকে একটি কেবিনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
পরে তার চিৎকারে বান্ধবী ও হাসপাতালের অন্য স্টাফরা তাকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে হাসপাতালের মালিক মজিবর রহমান বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে ওই ম্যানেজারকে হাসপাতালের ওটির জানালা ভেঙে পালানোর সুযোগ করে দেয়। এরপর ওই তরুণী কোতোয়ালি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে।
পুলিশ রাতেই পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের মালিক মজিবর রহমান ও ম্যানেজার আলম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।