আগুনে পুড়িয়ে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার ঘটনায় মাদ্রাসা কমিটির তৎকালীন সভাপতির কোনো গাফিলতি পায়নি তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনটি আজ সোমবার হাইকোর্টে দাখিল করেছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) হাবিবুর রহমান।
এর আগে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নুসরাত হত্যা মামলায় ফেনীর মাদরাসার সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি কে এনামুল করিমের নিষ্ক্রিয়তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত ১৫ই জুলাইয়ের ওই নির্দেশে সময় বেঁধে দেয়া হয় ৩০ দিন। জনপ্রশাসন সচিব ও শিক্ষাসচিবের প্রতি এই নির্দেশ দেয়া হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। এ বিষয়ে আজ আদালতে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে ফেনীর সোনাগাজী মাদরাসা কমিটির তৎকালীন সভাপতি এনামুল করিমের দায়িত্বে কোনো অবহেলা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ন করতেন ওই মাদরাসারই অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। এ ঘটনায় সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরেই গত ৬ই এপ্রিল মাদরাসার সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ই এপ্রিল মারা যান নুসরাত।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ জনের সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।।