গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত মেম্বার। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই নারী। তিনি যুব মহিলা লীগের একটি শাখার সভাপতি। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুশেন সেনও একই দলের নেতা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত।
আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই নারী মেম্বার। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে ওই নারী উল্লেখ করেছেন যে, ‘সরকার দলীয় প্রভাবশালী চেয়ারম্যান সুশেন সেন ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজের কথা বলে আমাকে বিভিন্ন সময় পরিষদে ডেকে নেন।
এরপর একা পেয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জোর করে হাত দেন।’ সামাজিক কারণে বিষয়টি কাউকে না বলে গোপন রাখেন তিনি।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, ‘সর্বশেষ, মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সচিবের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকার কাজ দিবেন, এমন কথা বলে তার সাথে আমাকে ঢাকা যেতে বলেন। আমি তার এমন প্রস্তাব প্রত্যাখান করি।’ এতে চেয়ারম্যান ওই নারীর প্রতি প্রচন্ডভাবে ক্ষিপ্ত হন। পরবর্তীতে গত ২৭শে আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক মিটিংয়ে চেয়ারম্যান সুশেন সেন তার সঙ্গে অনভিপ্রেত আচরণ করে পরিষদ থেকে বের করে দেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন ওই নারী।
এদিকে, নারী মেম্বারকে যৌন হয়রানি বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান সুশেন সেন বলেন, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নন্দিতার সঙ্গে আমার মনোমালিন্য আছে। তবে কি নিয়ে মনোমালিন্য এ বিষয়ে কোনো সদোত্তোর দিতে পারেননি তিনি।