দলের নেতৃত্ব নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই ৩০শে নভেম্বর কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করেছেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের। গতকাল এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন, পদ পদবির লোভ তার নেই। দলের নেতাকর্মীরাই পরবর্তী নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। ওদিকে সংসদে বিরোধী দলের নেতা নির্বাচন করতে আজ সংসদীয় দলের বৈঠক ডেকেছেন রওশন এরশাদ। গতকাল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে দলে যোগদান অনুষ্ঠানে দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের কাউন্সিলের তারিখের কথা জানান। এর আগে জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহমদ সেলিম। এসময় জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কাউন্সিলে দলের নেতাকর্মীরাই জাতীয় পার্টির আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।
নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নেবো। তিনি বলেন, পদ-পদবি বা ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনের জন্য আমি রাজনীতি করি না। দেশ, দেশের মানুষ ও জাতীয় পার্টির জন্য আমাদের রাজনীতি। কোন লোভ-লালসার জন্য রাজনীতি নয়। জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের বড় তিনটি রাজনৈতিক দলের অন্যতম উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির দেশ পরিচালনায় অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্য রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক শূন্যতায় দেশের মানুষ এখন আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। নতুন প্রজন্মের সামনে রাজনীতি করার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে জাতীয় পার্টি। সঠিক পথে ও সুশৃঙ্খলভাবে জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে এগিয়ে যাবে। সারাদেশে দলকে আরও শক্তিশালী করতে ৮ বিভাগে ৮টি সাংগঠনিক টিম করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভ রায়, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, আলমগীর সিকদার লোটন, নাজমা আখতার, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল ।
এদিকে আজ দুপর ১ টায় জাপার সংসদীয় দলের সভা ডেকেছেন বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ। সভায় বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। গতকাল রওশন এরশাদ এক নোটিশের মাধ্যমে এই সভা ডেকেছেন। নোটিশে রওশন এরশাদকে জাপার চেয়ারম্যান উল্লেখ করা হয়েছে। রওশন এরশাদ স্বাক্ষরিত এ নোটিশে দলের সব সংসদ সদস্যকে সভায় উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যসব সদস্যের মতো জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৈঠকে দুটি এজেন্ডার কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো বিগত সভার সিদ্ধান্ত পাঠ, দৃঢ়ীকরণ ও জাপার সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন।