ত্রিদেশীয় সিরিজে দুই ম্যাচ খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারালেও যে কাজটা খুব সহজ হয়নি সেটা সবারই জানা। এরপর আফগানদের কাছে হেরেই তার প্রমাণ দিয়েছে বাংলাদেশ।
ঢাকা পর্ব শেষে চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর অপেক্ষা। বুধবার স্বাগতিকরা মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ের। যারা প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে খাঁদের কিনারায়। তবে টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশকে হারানো ছাড়া কোনও পথ নেই তাদের সামনেও।
চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর আগে বাংলাদেশ দলে এসেছে পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন ওপেনার সৌম্য সরকার। এক ম্যাচের জন্য দলে ডাক পাওয়া আবু হায়দার রনিকেও না খেলিয়ে বাদ দেয়া হয়েছে দল থেকে। দলে নতুন ডাক পাওয়া পেসার ইয়াসিন আরাফাত মিশু অবশ্য চোটের কাড়নে বাদ পড়েছেন। বাদ পড়েছেন স্পিনার মেহেদী হাসান রানাও।
দলে জায়গা হয়েছে অভিজ্ঞ পেসার শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেনের সঙ্গে দুই নতুন মুখ নাইম শেখ, আমিনুল বিপ্লব ও নাজমুল হোসেন শান্তর।
এসব নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন মোসাদ্দেক হোসেন। নতুনদের নিয়ে কিছু বলতে না চাইলেও একটা আভাস দিয়ে রেখেছেন মোসাদ্দেক। পারফর্ম না করতে পারলে যে কারও জন্যই দলে থাকা কঠিন।
‘পারফর্ম না করলে সবকিছুই ডিফিকাল্ট। কেউ যখন পারফর্ম করতে পারে না তখন তার জন্য আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়ে দলে থাকাটা। যখন আমরা ভালো খেলি তখন দলের পরিবেশটা অন্যরকম থাকে। আর খারাপ খেললে সেটা যত দ্রুত স্কিপ করার চেষ্টা করি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতে গেলেও আফগানদের হারানো যেন অসম্ভব। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানদের ঘরের মাঠে হারানো গেলেও পরের চার বারের দেখায় হেরেছে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক বলছেন, স্কিলে ঘাটতি আছে কিছু।
‘ওদের বেশিরভাগ স্পিনারই রিষ্ট স্পিনার। স্বাভাবিকভাবেই আপনি চাইলে ওদের চার-ছয় মারতে পারবেন না। তাই এখানে স্কিলেরও একটা ব্যপার আছে। আমরা যে কাজগুলো করতেছি আমার মনে হয় সবই ঠিকাছে, কিছু কিছু জায়গাতে হয়তো একটু ত্রুটি থাকছে। আমার মনে চোট চোট কারণগুলোর জন্যই আমরা ম্যাচগুলো হেরে যাচ্ছি। তাই ভুলগুলোকে যত কমিয়ে আনা যায় সেটাই আমাদের জন্য ভালো।’
‘আমরা অবশ্যই জেতার জন্য খেলব, এবং আমরা শতভাগ আক্রমণাত্বক ক্রিকেটটাই খেলব’ যোগ করেন মোসাদ্দেক।