জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্যটা ১৯০ ছোঁয়া হতে পারত। বাংলাদেশ সেভাবেই ব্যাট করছিল। প্রথমে দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসাইন ভালো সংগ্রহ এনে দেন। মিডল অর্ডারে মুশফিক-মাহমুদুল্লাহ দারুণ এক জুটি গড়েন। ফিফটি তুলে নেন সর্বশেষ ম্যাচেও রান পাওয়া মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু শেষ চার ওভারে রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। চার উইকেট হারিয়ে শেষে তুলতে পারে ৩৩ রান। বাংলাদেশকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তাই ১৭৫ রানে থামে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বুধবার টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ওপেনার লিটন দাস শুরুতে ছোট্ট একটা ঝড় দেখান। কিন্তু তা স্থায়ী হয়নি। তিনি ২২ বলে দুই ছক্কা ও চারটি চারের মার মেরে ৩৮ রান করে আউট হন। নাজমুল হোসাইনের সঙ্গে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। এরপর নাজমুল, লিটন এবং সাকিব পরপর ফিরে যান।
সেখান থেকে মাহমুদুল্লাহ এবং মুশফিক দারুণ এক জুটি গড়েন। দু’জনে যোগ করেন ৭৮ রান। মাহমুদুল্লাহ ৪১ বলে পাঁচ ছক্কা ও এক চারে ৬২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে আউট হন। মুশফিকুর রহিম খেলেন ৩২ রানের ইনিংস। শেষ দিকে আফিফ-সাইফরা ছোট ছোট সংগ্রহ এনে দিলে ভালো লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ের সামনে।
সর্বশেষ ম্যাচের একাদশে তিন পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। নাঈম শেখের অভিষেক হবে বলে গুঞ্জন থাকলেও টেস্ট-ওয়ানডের পর টি-২০ অভিষেক হয়েছে নাজমুল হোসাইন শান্তর। লিটনের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন তিনি। এছাড়া লেগ স্পিন অলরাউন্ডার আমিনুল ইসলাম জায়গা পেয়েছেন একাদশে। বাদ পড়েছেন সাব্বির রহমান। তাইজুল ইসলামের জায়গায় পেসার শফিউল ইসলাম ঢুকেছেন একাদশে।
শ্রীলংকা থেকে ওয়ানডে সিরিজে হেরে ফেরার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ। টি-২০ ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু আফগানদের বিপক্ষে প্রথম টি-২০ ম্যাচেও হারে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় দেখায় জয়ই একমাত্র লক্ষ্য টাইগারদের।
বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসাইন শান্ত, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধি.), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
জিম্বাবুয়ে দল: ব্রেন্ডন টেইলর, হ্যামিলটন মাসাকাদজা, রিচমন্ড মুতুমবামি, শন উইলিয়ামস, টিনোটেন্ডা মুতুমবজি, রায়ান বার্ল, রেগিস চাকাভা, নেভিল মাদজিভা, আনছসে এন্ডিলভ, ক্রিস এমপফু।