ডেঙ্গু জ্বরে গতকাল পর্যন্ত ২৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তা পর্যালোচনা করার জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এরমধ্যে ১৩৬ জনের মৃত্যু পর্যালোচনা করে ৮১ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত কারণে বলে নিশ্চিত করেছে। তবে এখনও দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। যেগুলো এখনও সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র বলছে, মৃতের সংখ্যা আরো বেশি হবে। ডেঙ্গুতে প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিল লম্বা হচ্ছে। ডেঙ্গু সন্দেহে ২৩১ জনের মৃত্যুর তথ্যের মধ্যে রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৪০ জন, মিটফোর্ডে ২ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ১৫ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৭ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১ জন ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২ জনসহ বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে মোট ৮৫ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর তথ্য এসেছে। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ১০৪ জনের মৃত্যু তথ্য। রাজধানীতে সরকারি ও বেসরকারি মিলে মোট ১৮৯ জনের মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়েছে। ঢাকা শহর ছাড়া ঢাকা বিভাগে ৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪ জন, খুলনায় ১১ জন, রংপুরে ৪ জন, রাজশাহীতে ৫ জন, বরিশালে ৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ জন মারা যাওয়ার খবর এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্র মতে, বর্তমানে রাজধানীর ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৫৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। ঢাকার বাইরে ৯৯০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে সারা দেশে মোট ভর্তি রয়েছেন এক হাজার ৫৫৭ জন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৩৬০ জন। এর মধ্যে রাজধানীতে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৮২ জন। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে একই সময়ে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৭৮ জন। গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮৬ হাজার ৯০৩ জন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৫ হাজার ১১৫ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের মধ্যে ৯৮ ভাগ রোগীই ইতিমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন।