রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে বিদ্যুতের দাবিতে ক্যাম্পবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার দুপুরের পর থেকেই এ সংঘর্ষ শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও সংঘর্ষ চলছে। পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় তাদের ১৫ সদস্য আহত হয়েছেন। ক্যাম্পবাসীরা বলছেন, তাঁদের অর্ধশত বাসিন্দা আহত।
আটকে পড়া পাকিস্তানিদের অভিযোগ, প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা করে তাদের বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হয়। এই ক্ষোভে শুক্রবার থেকে তারা বিক্ষোভ করেন। আজ দুপুর বারোটা থেকে ফের বিক্ষোভ করেন তারা। একপর্যায়ে জেনেভা ক্যাম্প থেকে মোস্তাকিম কাবাব রেস্টুরেন্ট পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় রাস্তায় নিয়ন্ত্রণে নিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় তাদের সংঘর্ষ হয়।
বেলা দেড়টা থেকে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের পেছনের সড়কেও সংঘর্ষ ছড়িয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর করে উল্টে দিয়ে আগুন ধরানোর চেষ্টা চালায়।
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শাহজাহান রোডে মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভকারীরা দাঁড়ায়। এর প্রায় ৫০০ গজ দূরে অবস্থান নিয়েছে বেশ কয়েকজন পুলিশ, দাঙ্গা পুলিশ। তাদের সঙ্গে রয়েছে জলকামান, সাঁজোয়া যান। পুলিশের পেছনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নও (র্যাব-২) রয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে উসকানিমূলক আহ্বান জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান জানান, তাঁদের প্রায় ১৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন। কারও পায়ে, কারও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লেগেছে। তাঁদের পিকআপ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
তবে বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, অন্তত ৫০ জন ক্যাম্পবাসী সংঘর্ষে আহত হয়েছেন।