তাইবুর রহমান ও মুশফিকুর রহীম। গতকাল ফতুল্লায় জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) টিয়ার-১ এর ম্যাচে দু’জনই খেললেন লড়াকু ইনিংস। ১৪৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলা ঢাকা বিভাগকে ২৪০ রান পর্যন্ত নিয়ে যান তাইবুর। ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত থাকেন ৮৮ রানে। ঢাকা বিভাগকে জবাব দিতে নেমে তরুণ পেসার সুমন খানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে রাজশাহী বিভাগ। চাপের মুখে হাল ধরেন মুশফিক। ১১৬ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন জাতীয় দলের এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। এরপরও খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই রাজশাহী।
১৭৬/৬ তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করে তারা। ৬৭ রানে পিছিয়ে থাকা রাজশাহী এখন তাকিয়ে আছে জরুহুল ইসলাম অমির দিকে। ওপেনিংয়ে নেমে ৫৭ রানে অপরাজিত আছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। ফরহাদ রেজাকে (১৪*) নিয়ে আজ তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামবেন অমি।
১৪৩/৭ নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা ঢাকা বিভাগ স্কোরবোর্ডে এক রান যোগ করতেই হারায় সানজামুল ইসলামকে (০)। তাইবুরের লড়াই সেখান থেকেই। বোলার সুমন খানকে নিয়ে নবম উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়েন তাইবুর। দলীয় ১৯২ রানে সুমন (১০) আউট হলেও হাল ছাড়েননি তিনি। দশম ব্যাটসম্যান সালাউদ্দিন শাকিলের সঙ্গেও গড়েন ৪৮ রানের জুটি। শাকিলকে (৫) বোল্ড করে ঢাকার শেষ প্রতিরোধ ভাঙেন ফরহাদ রেজা। রাজশাহীর বোলারদের কাছে হার না মানা তাইবুর ১২৩ বলে ৮ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় সাজান তার ৮৮ রানের ইনিংসটি। আগেরদিন ৪ উইকেট নেয়া তাইজুল ইসলাম এদিন কোনো উইকেট পাননি। ঢাকার শেষ ৩ উইকেটের দুটি ফরহাদ রেজা ও একটি নেন শফিকুল ইসলাম।
নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করতে নেমে পেসার সুমন খানের তোপে পড়ে রাজশাহী বিভাগ। ৭ ওভারে ৫ মেডেন নিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন ১৯ বছর বয়সী সুমন। ১৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জহুরুল ইসলামের সঙ্গে ১২১ রানের জুটিতে ধাক্কা সামাল দেন মুশফিকুর রহীম। ব্যক্তিগত ৭৫ রানে মুশফিক শুভাগত হোমের বলে আউট হলে ভাঙে এ জুটি। সুবিধা করতে পারেননি সাব্বির রহমান। ছয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১ রান করে ফেরেন সাজঘরে। শেষ বিকালে রাজশাহীর ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন শাকির আহমেদ (৪)।
খুলনায় শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টিয়ার-১ এর অপর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে রংপুর-খুলনা বিভাগ। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনের খেলা এক বলও মাঠে গড়ায়নি। গতকাল ৭২ ওভার খেলা হয়। টস জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনা। ১৬৯/৫ তুলে দিন শেষ করে রংপুর। নাঈম ইসলাম ৪৮, হামিদুল ইসলাম ১৬, মাহমুদুল হাসান ২৭ ও অধিনায়ক নাসির হোসেন ৪ রান করে আউট হন। তানবির হায়দার ৪০ ও সোহরাওয়ার্দী শুভ ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনার হয়ে পেসার আল আমিন হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক ২টি করে উইকেট নেন।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে টিয়ার-২ এর ম্যাচে লড়ছে সিলেট-বরিশাল বিভাগ। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনের খেলা পরিত্যক্ত হয়েছিল। দ্বিতীয় দিনে মাত্র ৩১ ওভার খেলা হয়। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬৮/৩ সংগ্রহ করে দিন শেষ করে সিলেট। তৌফিক খান (১৬), ইমতিয়াজ হোসেন (৬) ও রাহাতুল ফেরদৌস (৪) আউট হয়ে ফিরে গেছেন। জাকির হোসেন ৩২ ও অলক কাপালি ৮ রান নিয়ে আজ ব্যাটিংয়ে নামবেন। বরিশালের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি।