বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোতে সবথেকে আলোচিত বিষয় ছিলো ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার রায়। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের জন্য অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত মোট ১৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলোও গুরুত্বের সঙ্গে খবর প্রচার করেছে। বিবিসির পাশাপাশি রয়টার্স, এএফপি, আল-জাজিরা, আইরিস টাইমস ও আইটিভির মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা অনলাইনে বৃহ¯পতিবার সমগ্র দিনই নুসরাত হত্যার রায়ের খবরটি ছিলো প্রধান সংবাদের তালিকায়। প্রতিবেদনটিতে তারা নুসরাত মারা যাওয়ার পর দেশজুড়ে প্রতিবাদ হয়েছিলো সেসময়কার ছবি প্রকাশ করেছে তারা। এতে চিকিৎসাধীন নুসরাতের ‘শেষনিশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করে যাব’ বলে বক্তব্যের উল্লেখও করেছে আল জাজিরা।
নুসরাত হত্যায় রায়ের খবরটি বিবিসি অনলাইনে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়। একাধিক ছবি দিয়ে বিবিসিতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করায় নুসরাতকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাজা শোনার পর আদালতে আসামিদের কান্না ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বাংলাদেশে নারীদের যৌন হয়রানি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। অ্যাকশন এইডের তথ্যের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, এ বছরের শুরুতে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে ৮০ ভাগ নারী কর্মী যৌন নির্যাতন বা হয়রানির শিকার হয়েছেন। নুসরাত হত্যাকাণ্ডকে বর্বর বলে অভিহিত করেছে এএফপি। বাংলাদেশের কিশোরীকে আগুন দিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ডে র খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থাটি। এছাড়া নুসরাত হত্যায় ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ডে র খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্সও।