ম্যাচ পাতানোর জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ ও দামি মার্সিডিজ কারের অফার এসেছিল শোয়েব আখতারের কাছে। পাকিস্তানের স্পোর্টস রিপোর্টার সাজ সাদিক আজ (রোববার) একটি টুইট করেন। সেখানে সাবেক গতিতারকা শোয়েবের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘আমাকে এক মিলিয়ন ডলারের সঙ্গে দুটি এস-ক্লাস মার্সিডিজ কার এবং ফুলহামে একটি অ্যাপার্টমেন্ট দেয়ার প্রস্তাব করে এক জুয়াড়ি। আমি ওই জুয়াড়ির অফার শুধু ফিরিয়েই দেইনি তাকে পিটুনিও দিয়েছিলাম।’
বিশ্বের দ্রুতগতির বোলার শোয়েব এর আগে একটি ইউটিউব শো’তে বলেন, ‘নিজের প্রতি সবসময় বিশ্বাস ছিল যে আমি কখনো পাকিস্তানের সঙ্গে বেঈমানী করতে পারি না। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়াতে পারি না। আমি ২২ জনের (আসলে ২১ জন) বিরুদ্ধে খেলেছি। প্রতিপক্ষের ১১ আর আমাদের ১০। আমাদের এরা জানতো ম্যাচ ফিক্সার কে।
অনেক অনেক ম্যাচ ফিক্সিং হয়েছে। মোহাম্মদ আসিফ আমাকে বলেছিলেন কোন কোন ম্যাচ পাতানো হয়েছে এবং কীভাবে পাতানো হয়েছে।’
২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিং করে নিষিদ্ধ হন পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির, সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফ। আমির-আসিফের মতো প্রতিভাবান পেসার ফিক্সিংয়ে জড়ানোয় আফসোস শোয়েবের। তিনি বলেন, ‘আমি আমির-আসিফকে বোঝানোর চেষ্টা করতাম। প্রতিভার কী অপচয়! যখন তাদের ফিক্সিংয়ে জড়ানোর খবর শুনেছিলাম এতটাই আপসেট হয়ে পড়ি যে দেয়ালে ঘুষি মারি। পাকিস্তানের প্রতিভাধর সেরা দুই পেসার নষ্ট হয়ে গেলো। তারা টাকার কাছে নিজেদের বিকিয়ে দিলো।’