পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে কমপক্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। সরকার অপ্রত্যাশিতভাবে পেট্রোল রেশনিং এবং একই সঙ্গে মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। এর প্রতিবাদে শনিবার বিক্ষোভ হয় বিভিন্ন শহরে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। উল্লেখ্য, শুক্রবার সরকার পেট্রোলের দাম শতকরা কমপক্ষে ৫০ ভাগ বৃদ্ধি করে। কারণ, পেট্রোলের ওপর দেয়া সরকারের ভর্তুকি কমিয়ে আনা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্ধিত দাম দিয়ে গরিবদের সহায়তা করা হবে।
২০১৫ সালে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তি প্রত্যাহার করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর পরই তারা ইরানের ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করেন। ফলে ইরানের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
পেট্রোলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সিরজান শহরে নিহত হয়েছেন একজন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা বলছে, শুক্রবার জ¦ালানির একটি মজুদাগারে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালায় এবং এতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন। ওদিকে বেহবাহান শহরে একজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বড় বিক্ষোভ হয়েঠে রাজধানী তেহরান, কেরমানশাহ, ইসফাহান, তাবরিজ, কারাদজ, সিরাজ, ইয়াজদ, বেশেহর এবং সারি’তে। বেশ কিছু শহরে ক্ষুব্ধ জনতা মোটরসাইকেল দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। এতে রাস্তায় সব রকম গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়। অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা রাজধানী তেহরানে ইমান আলি হাইওয়েতে যান চলাচল থামিয়ে দিচ্ছেন। তাদেরকে সমর্থন করতে পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্লোগান দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে এবার শীত মৌসুমে প্রথমবারের মতো তুষারপাত হয়েছে তেহরান-কারাজ সড়কে। সেখানেও অবরোধ সৃষ্টি করতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের।