
| ২৬ নভেম্বর ২০১৯ | ৩:০২ অপরাহ্ণ
মিয়ানমারের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলছে, ১৯৮০-র দশকের রাসায়নিক অস্ত্র মিয়ানমারে মজুদে থাকতে পারে।
গতকাল সোমবার দ্য হেগে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা ওপিসিডব্লু’র বার্ষিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির একটি ‘ঐতিহাসিক’ স্থাপনায় এখনও পূর্বে উৎপাদিত হওয়া মাস্টার্ড গ্যাস থাকতে পারে।
২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রাসায়নিক অস্ত্র সম্মেলনে (সিডব্লুসি) যোগ দিয়েছিল মিয়ানমার। সেই সম্মেলনে রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন, মজুদ এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি টমাস ডিনান্নো বলেন, মিয়ানমারের ঐতিহাসিক রাসায়নিক অস্ত্র স্থাপনায় একটি রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ থাকার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ওয়াশিংটনের কাছে তথ্য ছিল ‘১৯৮০ সালে মিয়ানমার রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কর্মসূচি হাতে নেয়। সেখানে সালফার মাস্টার্ড গ্যাসও ছিল।’
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যয়ন করছে যে, মিয়ানমার তার অতীতের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে জানাতে ব্যর্থ এবং সেগুলো নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় এটি সিডব্লুসি’র সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছে।
এর আগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র মজুদ ও প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে। ২০১২ সালে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে একটি কপার খনিতে বিক্ষোভকারীদের ওপর ফসফরাস প্রয়োগ করেছিল পুলিশ। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করছে এমন রিপোর্ট করার কারণে ২০১৪ সালে পাঁচজন সাংবাদিককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।