বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের মিয়ানমার সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তার মতে, এর ফলে আরেকটি লাইন অব নেগোসিয়েশন তৈরি হবে। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আবদুল মোমেন বলেন, সেনাবাহিনী প্রধানের সফর আমাদের সপক্ষে যাবে। কারণ, মিয়ানমার আমাদের শত্রু দেশ নয়, বন্ধু দেশ। আমরা আলোচনার মাধ্যমে এটি (রোহিঙ্গা সমস্যা) সমাধান করতে চাই। আমরা বিভিন্ন কর্মপন্থা ও দূতিয়ালি করে যাচ্ছি, যাতে করে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যায়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ অবস্থায় আমাদের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সেদেশে গেলে আমাদের জন্য মঙ্গল হবে।
এর ফলে আরেকটি লাইন অব নেগোসিয়েশন চালু হবে। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই।
মিয়ানমারের মিথ্যাচার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার বারবার মিথ্যা বলছে। কারণ, তারা চমক দেখাতে চায়।
মিয়ানমারকে নাজি জার্মানির আইকম্যানের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, সে সময় তারা (জার্মানরা) মনে করতো, ১০টি মিথ্যা কথা বললে সেটা সত্য বলে প্রমাণিত হবে। মিয়ানমারও মনে হয় একই মনোভাব পোষণ করে। মিয়ানমার বলছে- ‘তারা প্রস্তুত, কিন্তু বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের যেতে দিচ্ছে না।’ চিন্ত করেন, কেমন ডাহা মিথ্যা কথা।
ভাষানচরের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা। আমরা জোর করে সেখানে কাউকে পাঠাবো না।