‘শষ্যের আহ্বানে বিজয়ের উল্লাস’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিগত বছরের মতো এবারও নবান্ন উৎসব এবং বিজয় দিবসকে এক সুতোয় গাঁথতে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শোবিজ এন্টারটেইনমেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে আবহমান গ্রাম বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জীবনঘনিষ্ট নবান্ন উৎসব। গত ১১ থেকে ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ইং পর্যন্ত ৩(তিন) দিনব্যাপী রাজধানীর ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর শুরু হবে‘ নবান্ন উৎসব ১৪২৬’। নবান্ন উৎসবকে আকর্ষনীয় এবং দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য রয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নবান্নের নাচ, নবান্নের গান, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, পুথি পাঠ, বায়োস্কোপ, সহ প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। নবান্ন উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্বে গান পরিবেশন করবেন ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, জানে আলম,শফী মন্ডল, কিরন চন্দ্র রায়, চন্দনা মজুমদার ফকির শাহাবউদ্দিন, চিশতী বাউল, সুকুমার বাউল, টুনটুন বাউল,পাগলা বাবলু,সমীরণ বাউল,আবু বকর ছিদ্দীক, বিউটি, লায়লা বাউল, মৌসুমী ইকবাল,শফিউল আলম রাজার দল (ভাওয়াইয়া), বাউল কাশেম, উসমান উদাস, দেলোয়ার বয়াতি, ইউসুফ বয়াতি, সুমী শবতম, শাহনাজ বাবু, মহসিন, লালন পাঠশালা ,আবৃতি চর্চা কেন্দ্র,স্বরশ্রুতি,সত্যসেন শিল্প গোষ্ঠী, ধ্রুব শিশু কিশোর সংগঠন,বাফা,খেলাঘর শিশু শিল্পী গন,শিল্পবৃত্ত, নৃত্যলোক ও নটরাজ অন্যান্য। আর এতসব আয়োজন উপভোগের পাশাপাশি মুখের স্বাদ বাড়াতে রয়েছে দেশের ঐহিত্যবাহী সব রকমারী পিঠা পুলির প্রদর্শনী। নবান্ন উৎসবে লামিয়া বি-বাড়িয়া পিঠাঘর, নেত্রকোনা পিঠাঘর, নোয়াখালী পিঠাঘর, শরীয়তপুর পিঠাঘর, মানিকগঞ্জ পিঠাঘর, গোপালগঞ্জ পিঠাঘর, মনিচুরি পিঠাঘর, গ্রাম বাংলা পিঠাঘর, ,পিঠা পুলি, বিক্রমপুরের পিঠা পুলি, ময়মনসিংহ পিঠা পল্লী, সহ প্রায় ৩২ টি স্টলে দেশের বিভিন্ন এলাকার পিঠাপুলি প্রদর্শন ও বিক্রিয় করা হবে। এতে আরও জানানো হয়, নবান্ন উৎসবে পিঠাশিল্পীদের কাজে উৎকর্ষ আনয়ন ও উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। আশাকরি এই প্রচেষ্ঠা নতুন মাত্রা যোগ করবে।আয়োজক সংগঠন শোবিজ এন্টারটেইনমেন্টের নির্বাহী পরিচালক মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, গ্রাম বাংলার নবান্ন উৎসবে শহরের মানুষকে যুক্ত করতে এ আমাদের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ এসব স্টল থেকে খেঁজুরের গুড়ে ভেজানো চিতই, ফুল পিঠা, দুধ চিতই, ভাপা পিঠা, ডিম চিতই, মুখ পাকন, পাটি সাপ্টা, সুচি পিঠা, রস মাধুরী পিঠা, ইলিশ পুলি, মালাই পুলি, খেঁজুরের পিঠা, মাল পোয়া পিঠা, সেমাই পিঠা, জামাই আদর পিঠা, পাকান পিঠাসহ বিভিন্ন নাম ও স্বাদের পিঠাগুলোর প্রদর্শনী ও বিক্রি চলছে। উৎসবে বিভিন্ন অঞ্চলের মজাদার স্বাদের প্রায় ১৬০ থেকে ২০০ রকমের পিঠা পাওয়া যাবে। উৎসবে আগত নানা বয়সী মানুষের উৎসব প্রাঙ্গনে বসেই পিঠা খাওয়ার য়াবে। আবার অনেকে পরিবারের জন্য পার্সেল ও নিতে পারবে । সব মিলিয়ে বেশ জমে উঠেবে নবান্ন উৎসব। গ্রাম বাংলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগের পাশাপাশি মজাদার পিঠার স্বাদের জন্য ঘুরে আসতে পারেন যে কেউ। সবার জন্য এটি উন্মুক্ত।