মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে শামীমা আক্তার (৩২) ও মীর আব্দুর রহমান (৩) নামের দুজনের মৃত্যুর কারণ খুঁজতে অনুসন্ধানে নেমেছে পৃথক দুটি মেডিকেল দল।
মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের তিন সদস্যের একটি দল ও আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ ও তথ্য গবেষণা কেন্দ্র ঢাকা হতে আসা তিন সদস্যের অপর একটি দল এই অনুসন্ধান কাজ করছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন আবুল কালাম আজাদ।
তিনি জানান, গতকাল থেকেই আমাদের একটি দল কাজ করছে। রাতেই আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ ও তথ্য গবেষণা কেন্দ্র ঢাকা হতে তিন সদস্যের একটি দল মুন্সীগঞ্জে এসে পৌঁছে। তারা মৃতের ছবি ও পাওয়া তথ্যে কাজ করছে। আজ ওই পরিবারের ও এলাকার লোকের ওপর কাজ করবে।
সিভিল সার্জন জানান, মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে কোনও স্যাম্পল (নমুনা) নেওয়ার নিয়ম না থাকায় আমরা তার ছবি ও পরিবার হতে পাওয়া তথ্য সংগ্রহ করেছি। আমাদের পাওয়া তথ্য ঢাকার দলের কাছে দেব। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। অনেকে অনেক রকম আশঙ্কা করতে পারেন। তবে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস বা নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার মতো কোনও সিম্পটম (ধরন) আমরা পাইনি। ফলে যারা মারা গেছেন তারা করোনাভাইরাস বা নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল বলে আমাদের মনে হয় না। আরও নিশ্চিত হতে আমাদের দুটি দল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গেল রোববার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে লৌহজং উপজেলার জসলদিয়া এলাকায় মারা যায় শিশু মীর আব্দুর রহমান। এদিন সকাল পৌনে নয়টার দিকে মারা যান চাচি শামীমা আক্তার।