ছোট হোক বড় হোক সখের ঘরটি সাজানো গোছানো থাকবে এটাই সবাই চান। সারা দিনের কর্মব্যস্ততার পর বাসায় ফিরে যদি দেখেন আপনার ঘরটি এলোমেলো হয়ে আছে, সেক্ষেত্রে এটি ঘরের প্রশান্তি নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। তাই গুছিয়ে রাখুন সখের ঘরটি।
শুধু কি দামি জিনিসপত্র দিয়েই ঘর সাজানো যায়? সময় ও সামর্থ্য সবসময় হয় না। খুব সাধারণ কিছু জিনিস দিয়ে সহজেই ঘরে আনতে পারেন নতুনত্ব। ঘরকে করে তুলতে পারেন আকর্ষণীয়।
** ঘর গোছানোর আগে পরিকল্পনা করে নিন কোথায় কী রাখবেন। তাহলে কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
* বাসায় ঢোকার পথে রাখতে পারেন সুন্দর একটা ফ্রেমে বাঁধানো আয়না। এটাও বেশ আকর্ষণ নিয়ে আসে। দেয়ালের রঙ সাদা হলে রঙিন ফুলের বেডকভার চমৎকার ফুটে উঠবে।
* দেয়ালের একপাশে ওয়ালম্যাট লাগিয়ে নিন। এতেই ঘরের সাজে যোগ হবে নতুন আকর্ষণ।
* মেহমানদের সামনে সুন্দর বসার ঘর আপনার মনটাও আনন্দে ভরে দেবে। সুন্দর গোছানো বারান্দা পড়ন্ত বিকেলে মন ভোলাবে আপনার।
* আসবাবপত্র ফাঁকা ফাঁকা করে রাখলে ভালো হয়, তাহলে ধুলো-বালি সহজে পরিষ্কার করা যায়। সু-র্যা ক গোছানোর সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আফিসে পরার জুতা আলাদা তা-কে রাখুন।
একইভাবে একেক সময় পরার জুতা ভিন্ন তাকে সাজিয়ে রাখুন। এতে সময় অপচয় কম হবে।
* ঘরে বুক সেলফের একটি র্যা কে রঙিন কিছু গ্লাস বা বাটি রাখুন। যেমন বুক সেলফ যদি মেহগনি রঙের হয় তাহলে সেলফে রাখুন কয়েকটি ব্যতিক্রমী ডিজাইনের সাদা গ্লাস, বাটি বা ফুলদানি। আর সাদা না হলে রাখুন রঙিন পাতা, ফুলদানি, গ্লাস ইত্যাদি।
* ডাইনিং রুমে ছোট ছোট বয়ামে বা লম্বা গ্লাসে বিভিন্ন মসলা রাখুন। সুযোগ থাকলে কিছু প্লাস্টিকের তৈরি ফল রাখুন ডাইনিং রুমের জন্য চমৎকার দেখাবে। ডাইনিং, কিচেন বা লিভিং রুমের একটা দেয়ালে কিছু রঙিন ও নকশাদার প্লেট সাজিয়ে রাখুন।
* শোবার ঘরে বিছানায় বিছিয়ে নিন হালকা রঙয়ের অথবা পছন্দের যেকোনও চাদর মিলিয়ে বালিশের কভার। খাটের সঙ্গেই রাখুন ছোট একটি টেবিল যেখানে একটি ফুলদানি, পানির যগ ও গ্লাস, মোবাইল ফোন রাখা যায়। শোয়ার সময় যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা মোবাইল ফোন মাথার পাশে বা বালিশের নিচে রাখবেন না। এতে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা থাকে।
* আলমিরাতে গুছিয়ে রাখুন কাপড়-চোপড়। ছোট জিনিসগুলো ড্রয়ারে রাখতে পারেন। নিত্যদিনের পরার কাপড় রাখতে পারেন আলাদা করে। অনুষ্ঠানে পরার কাপড় হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখুন। ড্রেসিং টেবিলে প্রয়োজনিয় জিনিসপত্র হাতের কাছে রেখে বাকি সব ভেতরে ঢুাকিয়ে রাখতে পারেন।
* রান্নাঘর গোছানোর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন। কেবিনেটের মধ্যে হাড়ি-পাতিলগুলো সাজিয়ে রাখুন। আলাদা আলাদা বাক্সে রাখতে পারেন মসলা।
ঘরের যেকোনও আসবাব গোছনোর সময় একটু ফাঁকা রাখার চেষ্টা করুন। এতে ধুলা-বালি সহজে পরিষ্কার করতে পারবেন। পরিষ্কার ও গোছানো ঘর পেতে খুব সহজেই এভাবেই গুছিয়ে নিতে পারেন আপনার ছোট্ট নীড়টি।