জাপানের বিলিয়নিয়ার ইয়ুসাকু মায়েজাওয়া। তিনি চন্দ্র ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। সঙ্গে নিতে চেয়েছিলেন কমপক্ষে ২০ বছর বয়সী একজন যুবতী বা লাইফ পার্টনারকে। তার এই উদ্যোগে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। লাইফ পার্টনার হতে প্রায় ২৮,০০০ যুবতী আবেদন করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদেরকে হতাশ করেছেন ইয়ুসাকু মায়েজাওয়া। বাতিল করেছেন পরিকল্পনা। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলছে, ইয়ুসাকু মায়েজাওয়া জাপানের একজন ফ্যাশন মুঘল হিসেবে পরিচিত।
তিনি ম্যাচ-মেকিং বিষয়ক একটি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেন সম্প্রতি। তাতে তিনি তার চন্দ্র অভিযানে লাইফ পার্টনার হতে সিঙ্গেল যুবতীদের আমন্ত্রণ জানান। তবে শর্ত জুড়ে দেন এসব যুবতীর বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২০ বছর। তার এমন আমন্ত্রণ পেয়ে অনলাইনেই আবেদন করেন প্রায় ২৮,০০০ যুবতী। কিন্তু বৃহস্পতিবার ইয়ুসাকু মায়েজাওয়া বলেন, তিনি এতে মিশ্র অনুভূতি বোধ করছেন।
তাই তিনি লাইফ পার্টনার খোঁজার এ উদ্যোগ থেকে সরে যাচ্ছেন। ফলে তিনি ২০২৩ সালে লাইফ পার্টনার বাদেই মহাশূন্য পরিভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনায় অটল আছেন। ইয়ুসাকু মায়েজাওয়ার বয়স ৪৪ বছর। তিনি এ মাসেই অনলাইনে লাইফ পার্টনার খোঁজার ওই বিজ্ঞাপন দেন। তাতে যুবতীদের কিছু শর্ত দিয়ে দেন। এর মধ্যে অন্যতম তাকে হতে হবে সিঙ্গেল, কমপক্ষে ২০ বছর বয়সী এবং মহাশূন্য বিষয়ে আগ্রহ থাকতে হবে। এমন যুবতীদের মধ্য থেকে তিনি মাত্র একজনকে বেছে নেয়ার কথা বলেন। ফলে সঙ্গে সঙ্গে তার এই প্রচেষ্টা ম্যাচমেকিং বিষয়ক ডকুমেন্টারি ‘ফুল মুন লাভারস’ ডকুমেন্টারিতে রূপান্তরিত হয়। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার তিনি টুইটারে ঘোষণা দেন, মহাকাশ যাত্রায় তিনি আর কাউকেই সঙ্গে নিতে চাইছেন না। এরই মধ্যে এ জন্য আবেদন করেছেন ২৭,৭২২ জন যুবতী। তাদের মনোবাসনা ও সাহস খুব ভাল। কিন্তু মিশ্র অনুভূতি থেকে সেখান থেকে আমি ফিরে যাচ্ছি এবং একান্ত আত্মকেন্দ্রীক এই সিদ্ধান্তে জন্য তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।
ফ্যাশন মোঘল ইয়ুসাকু মায়েজাওয়া সম্প্রতি বিচ্ছেদে রয়েছেন। বিয়ে করেছিলেন ২৭ বছর বয়সী অভিনেত্রী আয়ামি গোরিকি’কে। এবারই প্রথম মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তিনি সঙ্গী খোঁজার এমন বিজ্ঞাপন দিলেন এমন নয়। তিনি ফ্যাশন বিষয়ক প্রতিষ্ঠান জোজো’র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এর আগে তার টুইটের একটি যে প্রথম শেয়ার করবে তাদের মধ্য থেকে তিনি ১০০ মানুষকে বাছাই করে ১০ কোটি ইয়েন বা ৯ লাখ ২৫ হাজার ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।